পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うなo л সাহিত্য পরিষৎ-পত্রিকা [ ० ग३१ा । খালের ধারে ধারে ইক্ষুক্ষেত্রে ও সরিষার ক্ষেত্রের মধ্য দিয়া আমরা ‘ফোর্টের' দিকে চলিলাম। ক্ৰমে কান্দি দক্ষিণে রাখিয়া আমরা কান্দি স্কুলের ঠিক দক্ষিণাভিমুখে কিয়দপুরে অবস্থিত দক্ষিণকালিকার মন্দিরে পৌছিলাম। এ স্থান একেবারে প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত এবং কান্দি হইতে প্রায় এক মাইল দূরবর্তী। দক্ষিণ-কালিকার পীঠ অতি মনোরম নিভৃত স্থানে প্রতিষ্ঠিত। চতুর্দিকে কেবল বিস্তীর্ণ ধান্য ক্ষেত্ৰ। নগরের কলকোলাহল, এখানে প্রবেশ করিতে পারে না। এই সুদান দর্শনে গম্ভীর পবিত্ৰ ভালের উদ্দীপনা হইয়া থাকে। কালিকা দেবীর পীঠস্থান চতুঃপার্শ্ববাস্ত্রী ਕੁ ঠাইতে অনেকটা উচ্চ ভূখণ্ডে অবস্থিত। শুনিলাম পূর্বে এই স্থান দুৰ্ভেদ্য জঙ্গলে আবৃত ছিল-এন্মাণে মোই নিবিড় অরণ্য নাই। এই ভূখণ্ডে ২টী পুষ্করিণী আছে। একটি অত্যন্ত প্ৰাচীন-অনুমান ৪০০৫ ০০ ঘ২ সারের অধিককাল স্থায়ী। যদিও এই পুষ্করিণী:ত অধিক জল নাই-তথাপি এই পুষ্করিণীর জল অতীব নিৰ্ম্মল এবং স্বাস্থ্যকর বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। BSBDBDBSKK BDDB SDD DBDBD Dug KgggS BB BBD DDBDDJDS DDB BliD বড় তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়াছিলাম। আমরা সকলেই জলে নামিয়া করপুটে জলপান করিয়া লইলাম। অন্য পুষ্করিণী দক্ষিণ-কালিকা-মন্দিরের সন্নিাইত উ ওর দিকে অবস্থিত। ইহার নাম নিৰ্ম্মাল্য পুষ্করিণী। দেখিলাম মন্দির মধ্যস্থ চরণামৃত-জল পুষ্করিণীতে পতিত হইবার প্রণালী রহিয়াছে । পুষ্করিণীচী কালীমাতার চরণামৃতপনে পবি দ্ৰ হইলেও দৃশ্যতঃ জল নিৰ্ম্মল বলিয়া বোধ হইল না। দক্ষিণ-কালিকার পীঠ স্থান অতি প্রাচীন। এই স্থানে রুদ্রদেবের প্রতিষ্ঠা-কালের বহু পূৰ্ব্বে শক্তিমন্ত্রের বীজ উপ্ত হইয়াছে। অদ্যপি তাহার পরিচয়ের অভাব নাই। মন্দিরটি অধিক পুরাতন নহে। ইহার উচ্চতা ৩০:৩৫ হাত হইবে। মন্দির-শীর্ষে পিত্তলাময় পঞ্চমুণ্ডের বৈজয়ন্তী-পঞ্চমুণ্ডী আসনের বিজ্ঞাপন করিয়াছে। বোধ হয় পুরাকালে-এই স্থান কোন অজ্ঞাত নামা ব্ৰহ্মচারীর সিদ্ধপীঠ ছিল । আমার মনে হয়। সেই ব্ৰহ্মচারী কান্দিতে বৌদ্ধ প্ৰভাবের সময় নির্জন প্ৰান্তরে নিবিড় অরণ্যে শক্তি উপাসনার আশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করিয়া ছিলেন। দক্ষিণ-কালিকা-মন্দির উত্তরাংশে অবস্থিত। পূৰ্ম্মে, পূৰ্দে ও পশ্চিমে পরম্পর সম্মুখীন পাঁচটা করিয়া ১৩টা মন্দির ছিল। এক্ষণে পশ্চিমদিকের ৫টি জীর্ণ অবস্থায় বিদ্যমান, পূৰ্ব্বদিকের ৫টার মধ্যে কেবল উত্তর দিকের ২ টা মাত্র অভিগ্নাবস্থায় আছে। অন্য ৩টি একেবারে ভূমিসাৎ হইয়াছে। এই পার্শ্ববৰ্ত্তী ক্ষুদ্র মন্দির গুলির যৎকিঞ্চিৎ শিল্পকাৰ্য্যের অবশেষ ও গঠনদর্শ বিদ্যমান আছে, তদৃষ্টে সে গুলি রুদ্রদেবতার পার্শ্ব-মন্দিরের অনুরূপ বলিয়া বোধ হইল। এই পাৰ্থ মন্দির গুলি ৪০০ বৎসরের অধিক নহে। দক্ষিণ কালিকার মূৰ্ত্তি সাধারণ খালীমূৰ্ত্তির জ্ঞায় নহে। একটী অনাদিলিঙ্গের উৰ্দ্ধদেশে কেবল চক্ষু কর্ণের সংস্থান অঙ্কিত। মুখাকৃতি ভৈরব ভাবের উদ্বোধিক। এই প্রকারের কালীমূৰ্ত্তি বহু প্রাচীন। দক্ষিণ-কালিকার মহিমা সম্বন্ধে ২/১টী আখ্যানও শুনিতে পাওয়া যায়। ফতেসিংহের জমিদারগণই এই মন্দিরে গ্লাইত-তীহাদের কর্তৃত্বাধীনে পুজা উৎসবাদি সম্পন্ন হয়। দক্ষিণ-কালিকাদেমী এরূপ မ့်အံ့၊ সিঙ্গীয় মণ্ডিত যে, তঁহায় পাষাণ-দেহ কিছুতেই নয়নগোচর হয় দ্বা।