পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্য্য-বিবরণী S86 কিন্তু প্ৰবন্ধলেখক তাহকে ১২৫৮। সংবতে আনিয়াছেন, ইহা নিপচয় প্রামাণিক গ্রন্থের क्रिस्रुठ छ् ि। তপাগচ্ছাপটাবলী, সিদ্ধান্তোক্ত নিৰ্ণয়বিচার, বিচারামৃতসংগ্ৰহ, গাচ্ছেৎপত্তিপ্ৰাকীর্ণ, বিচারসার প্রকরণ, অজ্ঞান তিমির ভাস্কর প্রভৃতি গ্রন্থে স্পষ্টই উল্লেখ পাওয়া যায় যে ৫৮৫ বিক্রম সংবতে প্রমথ হরিভদ্র সুন্নি বর্তমান ছিলেন । তৃৎপরে हेमादि छझी ना९[झ१ख्ाएर পাণ্ডিত্য সহকারে জৈনধৰ্ম্ম ও জৈনদর্শন সম্বন্ধে অনেক কথার আলোচনা করেন। তৎপরে শ্ৰীশ্ৰীমুনি মহারাজ একটি সংক্ষিপ্ত স্তোত্ৰ পাঠান্তর হিন্দু ও জৈন ধৰ্ম্মশ্বাস্ত্ৰ হইতে শ্লোক আবৃত্তি করিয়া তাহার ব্যাখ্যা ও তৎসম্বন্ধে একটা বক্ততা করিলেন। “স্তাদ্বাদে। বৰ্ত্ততে যস্মিন পৃক্ষ পাতাে ন বিদ্যতে। নাস্ত্যন্যপীড়নং কিঞ্চিজৈনধৰ্ম্ম: স উচ্যতে ৷” যে ধৰ্ম্মে স্যা দ্ব্যাদ আছে, পক্ষপাতিত্ব নাই এবং যে ধৰ্ম্মে প্রাণিগণের প্রতি নিষ্ঠুরতাচরণ বিশেষরূপে নিষিদ্ধ সেই ধৰ্ম্মই জৈনধৰ্ম্ম । ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মের বিভিন্নতা জ্ঞাপক মতগুলির একীকরণকে স্তাদ্ব্যাদি কহে । স্যা দ্ব্যাদের বিস্তুত অর্থ হেমচন্দ্ৰচাৰ্য্যের “অন্যযোগব্যবচ্ছেদিক দ্বাত্রিংশকায়” এইরূপে লিখিত আছে,- “অদীপমাব্যোম সমস্বাভািবং ( স্তদ্ব্যাদমুদ্রা নতি ভেদবস্তু। ইত্যাদি। তৎপরে তিনি “অহিংসা পরমোধিৰ্ম্ম৷” এই মতের সপক্ষে কতকগুলি অখণ্ডনীয় প্রমাণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে অহিংসাই ধৰ্ম্ম মহীরূহের মূল এবং এই মূল যতই শক্তি শালী হইবে বৃক্ষ ততই বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইবে। কেবল জৈনগণই যে দান ও দয়াধৰ্ম্ম পালন করিবেন তাহা নহে, হিন্দুদিগের নানা ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ইহাই ধৰ্ম্মের সার বলিয়া গৃহীত হইয়াছে হিন্দুগণ ‘অহিংসাকে ধৰ্ম্মের পবিত্রতম অবস্থা বলিয়া স্বীকার করেন। অহিংসার প্রাধান্য সম্বন্ধে ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ হইতে সহস্ৰ সহস্ৰ প্ৰমাণ উদ্ধত করিতে পারা যায়। মনুস্মৃতি বলেন যে, একটি অশ্বমেধ যজ্ঞ করিলে শতঘর্ষব্যাপী জীবন পাওয়া যার, কিন্তু যে আমিষ আহার কয়ে না। প্রসও সেই ফল পায় । “বর্ষে বর্ষেহশ্বমেধেন যো যজেত শতাং সমাঃ । মাংসানি চ ন খাদ্দেদাস্তয়োঃ পুণ্যফলং সমং ” আমিষ আহারের ফলস্বরূপ মনুষ্য প্ৰাণিহত্যার পাপে পতিত হয়। “সমুৎপত্তিং চ মাংসস্ত বধবন্ধৌ চ দেহিনাম । প্ৰসমীক্ষ্য নিবৰ্ত্তেত সৰ্বমাংসস্য ভক্ষণাৎ ৷” জানিগণ আমিষভক্ষণের সমস্ত কুফল স্মরণ করিয়া তাহা হইতে নিবৃত্ত থাকেন ; दि অজ্ঞান মানবগণ কেমন করিয়া দেবীর সম্মুখে শাস্ত্রের নিষেধ সত্বেও নির্দোষ নিরীহ পশু বলি দিয়া থাকে। এই দেবীই জগদম্বা জগন্মাতা, কিন্তু ইহাও কি সম্ভব যে সেই জগন্মাতাই তাহার সমক্ষে তাহার আত্মতৃপ্তির জন্য তঁহার নিজ সন্তানকে বলিরূপে গ্ৰহণ করিয়া বলি দাতাকে