পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 [ 8 לטאל הול পর। পৰ্যটনকালে ভেদিও নামক নগরে আগমন করেন। অনুমান হয়, ভেদিও বর্তমান চম্পানগরের প্রায় তিন ক্রোশ দূরবীৰ্ত্তী বৰ্ত্তমান ভাদুরিয়া নামক গ্রাম। ভগবান বুদ্ধদেব যখন কুশীনগরে শালবন মধ্যে পরিনির্বাণের জন্য শেষ শয্যা গ্ৰহণ করিয়াছেন, তখন বুদ্ধশিষ্য আনন্দ তথাগতকে বলিতেছেন, “হে ভগবান, কুশীনগর একুটী জঙ্গলপূর্ণ ক্ষুদ্র নগর ; আপনি এখানে পরিনিবৃত হইবেন না। . চম্পা, রাজগৃহ, শ্রাবন্তী, সংকেত, কৌশাৰী, বারাণসী প্রভৃতি অনেক মহানগর আছে ; সেখানকার ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্রিীগণ ভগবানের প্রতি ভক্তিসম্পন্ন, তাহারা ভগবানের শরীরপূজা করিবেন। হে ভগবন, এই শাক্যনগরে পরিনির্বাণগত হইবেন। না” । অন্ততঃ দুই সহস্ৰ বৎসর পূর্বে এই কথাগুলি বুদ্ধচরিতকার লিপিবদ্ধ করেন। ইহা হইতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সেই পূৰ্ব্বকালেও চম্পা ঐক বৌদ্ধ মহানগরী বলিয়া গণ্য ছিল। বৌদ্ধ গ্ৰন্থাদিতে চম্পার অনেক স্থলে উল্লেখ আছে। বৌদ্ধগ্রন্থাদি হইতে জানা যায় যে, প্ৰাচীন কালে চম্পায় গকুর সরোবর নামে এক বৃহৎ সরোবর ছিল। এই সরোবুর গকুরী নামক কোনও রাণীর নামে খ্যাত ছিল। চম্পানগরে বর্তমান “ব্লকীভলাণ্ড হাউস” নামক ভবনের পশ্চিমে সরোবর নামে খ্যাত এক প্ৰকাণ্ড দীঘি এখনও আছে। ইহার অধিকাংশই এখন মজিয়া গিয়াছে। ইহাই বোধ হয়, প্ৰাচীন গকুর সরোবর। ভাগলপুরের নিকটস্থ ঘোগ নামক স্থান সম্ভবতঃ গকুরার অপভ্ৰংশ৷ ” এই গকুর সরোবরের তীরে চম্পকারণ্য নামে এক উপবন ছিল। তথায় বুদ্ধদেবের সময়ে ভিক্ষুগণ বাস করিতেন। মহাবংশগ্রন্থে চম্পারাজ কর্তৃক এক ব্ৰাহ্মণকে বৃত্তিদানের উল্লেখ আছে ও ইহা ও জানিতে পারা যায় যে, সম্রাট অশোকের মাত চম্পার এক ব্ৰাহ্মণকন্যা। জাতিক গ্রন্থেও চম্পার উল্লেখ আছে। চম্পায় বণিকগণ চম্পা হইতে গঙ্গা বাহিয়া সমুদ্রপথে বাণিজ্য করিতেন বলিয়া জাতিকে বর্ণিত হইয়াছেন। ; চীনপরিব্রাজক ইৎসিংএর ভ্রমণবৃত্তান্ত হইতে জানা যায় যে, চম্পা বৌদ্ধনগরী বলিয়া এত অধিক খ্যাতি ছিল যে কাম্বোজ বা কোচিন-চীনেও চম্পা নামে এক নূতন নগরের নামকরণ হইয়াছিল। তিব্বতীয় বৌদ্ধগ্রন্থেও চম্পার উল্লেখ পাওয়া গিয়াছে। চম্পানগরে বহু স্থলে বৌদ্ধমূৰ্ত্তির ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। চম্পানগরে কর্ণগড় নামে একটী দুর্গ आँछ ; ইহা অৰ্দ্ধ মাইল দীর্ঘ ও প্ৰায় অৰ্দ্ধ মাইল প্ৰশস্ত। উচ্চ ভূমির উপর এই দুর্গ অবস্থিত, কিন্তু এ উচ্চতা স্বাভাবিক নহে। মানুষের কৌশলেই এ দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। চতুর্দিকে বিস্তৃত পরিখা বিদ্যমান, তাহারই মৃত্তিকা হইতে ও সম্ভবতঃ নিকটবৰ্ত্তী স্থান হইতে মৃত্তিকা লইয়া এ দুর্গের উচ্চতা সম্পাদিত হইয়াছে। পরিখার পরপারের ভূমি চতুর্দিকেই সমতল। দুৰ্গ মধ্যস্থ ভূমি তাহার তুলনায় অনেক উচ্চ, কিন্তু তাহাও সমতল। ইহা হইতে বোধ হয় যে, এ উচ্চতা স্বাভাবিক নহে। ইহা ব্যতীত আজ চারি বৎসর হইল, দুর্গ মধ্যে কুপখননকালে দেখা গিয়াছে যে, দুৰ্গমধ্যস্থ ভূমি ভরাট্ট মৃত্তিকার হ্যায়, ভাগলপুর সহরের অন্য স্থলের বহু কঙ্করবিশিষ্ট মৃত্তিকার ন্যায় নহে। পরিখা এক্ষণে অনেক স্থলেই কৃষিক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে। পুর্বে এখানে একটি ইংরাজের সৈন্যবাস ছিল ; এখন তাহা উঠিয়া গিয়াছে। এখন সেখানে