পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन »७»8 } মালদহের:গ্ৰাম্যশব্দ ৫৩ প্ৰবৃদ্ধ জলমান প্ৰদীপশ্রেণি যাহা সুর ও অসুরগণ। দীপিত ও প্ৰদীপ্ত করিতেছিল, তৃদ্বারা সমগ্ৰ পাবা নগরী ও তদুপরিস্থিত আকাশ তল প্ৰদীপিত হইয়া প্ৰকাশ পাইতেছিল । আরও শ্রেণিক বিম্বিসার আদি সহস্ৰ সহস্ৰ তৃপিতিগণ, কল্যাণ উৎসব করিয়া এবং ইন্দ্ৰগণ দেবগণের সহিত আর্থিভাবে মহাবীরের নিকট জ্ঞান যাচ ষ্টা করিয়া স্ব স্ব স্থানে গমনু, করিলেন। সেই হইতে জিনেন্দ্রের নির্বাণের ঐশ্বৰ্য্যে ভক্তিযুক্ত”। ভারতের লোক, বৎসর বৎসর আদর করিয়া প্ৰসিদ্ধ দীপালি দ্বারা জিনেশ্বরকে পূজা করিতে সমৃত্যুত হইয়াছেন ; • বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর অন্তর্গত আনহিলবাড়ি পাটনে ১৩৬৬ সংবতে লিখিত আচাৰ্য্য সর্বানন্দ সুরি বিরচিত “দীপোৎসবকল্প” নামক একখানি তালপত্রের পুথি আছে। ঐ পুথির শেষ শ্লোক দ্বারা জানা যায়, মহাবীরের নিৰ্ব্বাণ হইলে নন্দিবন্ধনি নৃপ তৎপ্ৰতি প্রেমবশত চিন্তান্বিত হইলে তঁহার ভগিনী তাহাঁকে বুঝাইয়া আদর সহকারে ভোজন করাইয়াছিলেনু , তদবধি জগতে ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়া নামক পর্ব প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে । সেই শ্লোক এই-- “আনংদদ্রব্রুমকংদকংদলসমূদ্ভুতামৃতে নিবৃতে বীরে শ্ৰীমতি নংদিবধাননৃপস্তংপ্ৰেমচিন্তান্বিতঃ । ংবোধ্যাদিরসুংদরেণ জনসা স্বস্র স্বয়ং ভোজিস্ততঃ তৎপ্রাব্বতত পৰ্ব সর্ব জগতি ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়াবিধম৷” कीभिवष्म नील । মালদহের গ্ৰাম্যশবদ বিশ ত্রিশ বৎসরের মধ্যে মালদহ জেলার আদিম শব্দসমূহের লোপ পাইবার উপক্রম হইয়াছে। এ জেলায় বিস্তর ভিন্ন ভিন্ন জাতির বাস। প্ৰত্যেক জাতির ভাষার বিশেষত্ব আছে। কোচ, পলিয়া, রাজবংশী, তিওর, চামার, বাণ প্রভৃতি আদিম জাতিদের মধ্যে নূতন নূতন শব্দ দেখা মায়। প্ৰত্যেক জাতির উচ্চারণের বিশেষত্ব আছে। কথা শুনিয়া বুঝিতে পারা যায়, কোন জাতীয় লোক কথা কহিতেছে। আমাদের বিদ্যালয় সমূহ, সমুদয় জাতির ভাষা ও উচ্চারণ এক করিয়া দিতেছে। অন্তৰে প্ৰাচীন লোকদের মুখে ও নারী জাতির মধ্যে সাবেক কথাগুলি পূর্ণমাত্রায় বিরাজ করিতেছে। শব্দগুলি লোকের মুখে। যেমন উচ্চারিত হয়, লিখিয় তাহ প্ৰকাশ করা: যায় না। করিয়া ধরিয়া প্ৰভৃতি “ইয়া” প্ৰত্যয়ন্ত অসমাপিকা ক্রিয়াগুলি কর্য ধর্য্যা রূপে উচ্চারিত হয়। আমি, আমার প্রভৃতির স্থানে হামি, হামার উচ্চারিত হয়। অনেক শব্দ পারসী ও হিন্দীমূলক । দুটী প্ৰাচীন রাজধানী এ জেলায় ছিল বলিয়া এমন হইয়াছে। এমন কতকগুলি শব্দ আছে, তাহার মূল নিৰ্ণয় কল্প অসাধ্য। যেমন ঢাকুনি কুনকুন শব্দ