পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ ২য় সংখ্যা । বৈদিক সংস্কৃতের সহিত আধুনিক সংস্কৃতের তুলনা করিলেও তাহার প্রচুর দৃষ্টান্ত মিলিতে পারে। সংস্কৃত কবিগণ ও যে ইহাদিগকে কাব্যের ভাষায় স্থান দিতে দ্বিধা করেন নাই, তাহার প্রচুর উদাহরণ আছে। ভারতচন্দ্রের মত বাঙ্গালী কবির এই শ্রেণীর শব্দের প্রতি একটা दि८*ष प्रेींना छिंग, डश्tळ ख्यान्शेि ट्छ । र्डात्रुङ5र्क যেখানে সংস্কৃত কবিতা রচনার চেষ্টা করিয়াছেন, সেখানে ও এই ধবন্যাত্মিক শব্দ ব্যবহারের প্ৰলোড়ন সংবরণ করিতে পারেন নাই ; তঁহার “খটমট খটমট খুবোখধ্বদিকৃত” ইত্যাদি কবিতা অনেকেরই কণ্ঠস্থ আছে। মহাকবি ভবভূতি, মার্জিত ভাষা ব্যবহারে র্যাহার সমকক্ষ সংস্কৃত সাহিত্যে বিরল, তিনি এই ধ্বন্যাত্মিক শব্দে তাহার কবিতাকে সাজাইতে যেরূপ ভাল বাসিতেন, তাহা ও কাহারও অবিদিত নাই । মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাহার ‘ভপাতৃভূতি” নামক প্ৰবন্ধে এ বিষয়ে বিস্তারিত আল্লোচনা করিয়াছিলেন, সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকার পাঠকগণের তাহা স্মরণ থাকিতে পারে । সাহিত্যের পক্ষে যাহাই হউক, এই শব্দ গুলিকে বৰ্জন করিলে বাঙ্গালা দেশের অধিবাসীর কথা কহা একবারে বন্ধ করিতে হয়। আমাদের কাজ কৰ্ম্ম ঘরকন্ন চলে। কিনা সন্দেহ হয় । অন্ততঃ এই হিসাবেও বাঙ্গালা ভাষার, আলোচনায় এই শব্দগুলিকে বর্জন করিলে চলিবে না । কিছুদিন হইল, শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বাঙ্গালা ধ্বন্তিাত্মক শব্দ নাম দিয়া একটি প্ৰবন্ধ পরিষৎ-পত্রিকায় বাহির করিয়াছিলেন । ঐ প্রবন্ধে তিনি এই ধবন্যাত্মিক শব্দগুলির একটা বিশিষ্টতার উল্লেখ করেন ; তৎপুর্বে আর কেহ সেই বিশিষ্টতাটুকু লক্ষ্য করিয়াছিলেন কি না জানি না । একটা উদাহরণ দিব। কাকে কী কী করে, আর কোকিলে কুহু কুহু করে, গাড়ী ঘর ঘর করিয়া চলে, আর মানুষে খুক খুক করিয়া কাশে ; এই সকল দৃষ্টাস্তে স্বাভাবিক ধ্বনির অনুকরণ হইয়াছে, তাহা বুঝিতে কোন গোল নাই। আমরা হি হি করিয়া হাসি, আর খািট খট করিয়া চলি, এখানেও স্বভাবের অনুকরণ । কিন্তু রাগে যখন গা গশ গশ করে, তখন কি বাস্তবিকই এইরূপ ধ্বনি বাহির হয় ? যখন গাঁটু মট করিয়া তাকান যায়, তখন চোখ হইতে বড় জোর একটা জ্যোতি বাহির হয়, কোন শব্দ বাহির হয় না । শীতে যখন হাত পা কন কন করে, তখন মাইক্রোফন লােগাইয়াও সেই ধ্বনি শোনা যায় না। বুকের ভিতরের দুরদুরনি বা ধুকধুকনি ষ্টেথসকোপ লাগাইলে কর্ণগোচর হইয়া থাকে বটে, কিন্তু রাঙা টুকটুকে কাপড হইতে কোনরূপ টুকটুক শব্দ আবিষ্কারের কোন আশা দেখি না । শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির ধারা কখন ঝিমঝিম, কখন ঝমােঝম, কখন ঝাপঝাপ করিয়া শব্দ করে, তাহ। শুনিয়াছি বটে, কিন্তু বিকৃঝিকে বেলায় যখন অস্তগমনোন্মুখ সুৰ্য্যের অরুণকিরণ নারিকেল গাছের মাথাকে রঞ্জিত করে, তখন কোনরূপ বিকৃঝিক শব্দ শুনি নাই। অধ্যার ঘরে চকু চকু শব্দে বিড়াল কর্তৃক দুধের বাটির দুগ্ধ অপহরণবার্তা ঘোষিত হয় বটে, কিন্তু চকচকে দুয়ানিকে কখন চকচক শব্দ করিতে শুনি নাই। এই শব্দগুলি ধ্বনির অনুকরণে উৎপন্ন শব্দ সন্দেহমাত্ৰ নাই; কিন্তু কোনরূপ ধ্বনিত কখনও শুনিতে পাওয়া যায় না। আপাততঃ উহাদের