পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

flo 8988 } ধবনি-বিচার Ф দেখিলে “নে কার’ ( সংস্কৃত ন্যাকার ) আসে। নেকড়া যেমন মুঠায় লইয়া সঙ্কুচিত করা হয়, ঐ রূপে কোন বস্তুকে নিপীড়নের নাম “নেকড়ান’ বা ‘নে কড়ানোকড়ি” । শিকারকে ধরিয়া নেক’ড়ায় বলিয়া কি বাঘের নাম ‘নেকড়ে বাঘ ? ডানি হাতের মত বাম হাত আমাদের বশে থাকে না ; উহা যেন নড়নড়ে ;—“ন্যােঙর” লোকে ঐ বামহাত ব্যবহার করে। “নুলো” পঞ্চাননের হাত কিরূপ ছিল? যাহার মেরুদণ্ড দুৰ্বল, তাহাকে “নড়ি’ ( যষ্টি ) হাতে “নড়িতে” চড়িতে হয়। যে আপনাকে ধরিতে ছুইতে দেয়” না, মেরুদণ্ডহীনের মত হাত হইতে পিছলাইয়া যায়, সে ‘ন্যাক' সাজে। কঠিন ভূমির কোমল ঘাস নাড়িয়া উপড়ােনর নাম “নিড়েন” ; জমির ঘাসের মত মাথার চুল যার ‘নিড়েন’ হইয়াছে, সেই কি “নেড়া” ? : টবর্গ—ট * ত বর্গের ধ্বনির সহিত তারল্যের সম্পর্ক, আর ট বর্গের সহিত সম্পর্ক কঠিন্যের । টকা ঠক, টুকটাক, ঠুকঠাক, টক্কর, ঠোকর প্রভৃতি শব্দে কঠিন দ্রব্যে কঠিন দ্রব্যের সংঘট্টের পারচয় দেয়। সানুনাসিক টুং টাং শব্দে ধাতব তন্ত্রীর কাঠিন্য স্মরণ করায় ; কলিকাতার রাস্তায় চনা ঢান শব্দ উড়িষাবাসিবাহিত কাংস্তফলকের বার্তা ঘোষণা করে। যে কোন অভিধান খুলিলেষ্ট দেখা যাইবে, টকারাদি, ঠকারাদি, ডকারাদি, ঢাকারাদি সংস্কৃত শব্দের সংখ্যা অতি অল্প ; যে সকল শব্দ অভিধানে রহিয়াছে, তাহদেরও অনেকগুলি ধ্বনির অনুকরণে উৎপন্ন শব্দ । দেশজ শব্দ কালে সংস্কৃত ভাষায় প্ৰবেশ লাভ করিয়াছে মাত্ৰ । লৌকিক সংস্কৃত অপেক্ষ বৈদিক সংস্কৃতে ইহাদের সংখ্যা আরও কম। ইহাতে অনুমান হইতে পারে, প্রাচীন আৰ্য্য ভাষায় হয় ত এক কালে ট বর্গের ধবনির অথবা মূৰ্দ্ধন্য ধ্বনির অস্তিত্ব ছিল না । ইউরোপের ভাষাগুলিও বোধ হয় এই অনুমান সমর্থন করে। টকারাদি বহু শব্দ প্ৰাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণজাত ; তাহদের উৎপত্তি বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকিতে পারে না। টং, টং টং, টুং টাং, টং টুং প্রভৃতি ধ্বনি সৰ্ব্বজনপরিচিত ; উহাদের অনুনাসিক অংশ ধাতুপদার্থে অন্য কঠিন দ্রব্যের আঘাত সুচনা করে। ধনুকের ছিল।াতে টিং? শব্দে ‘টঙ্কার’ দেওয়া হয়। ‘টিক্‌টকি’ সময়ে অসময়ে “টিক টিকৃ” করিয়া বিপ্লক্তি জন্মায়; কাজেই কাণের কাছে ‘টিক টিক্‌’ করার অর্থ বিরক্তি উৎপাদন। কাঠের উপরে পাথরের বা ইটের আঘাতে টক্‌” শব্দ হয়, ঐ শব্দ পুনঃ পুনঃ ঘটলে ‘টিক্‌ টক’ হয় ; “টক টক” ছোট DD DD DS BDB gEE ED BBDS BDBDBD DBDBDk BBD DBBBBD BB SDtSSggDt মুদ্রার (রুপেয়ার) ভূমিতে আঘাতের শব্দ EESiDBD BDBD BBSDDDS D BDESDLLS সম্ভবতঃ ঐন্ধপ ধ্বনি হইতে সোহাগার নাম “টঙ্কন’ । পৌষমাসের প্রাতে ঠাণ্ড জল যেন ত্বগিন্দ্ৰিয়ে আঘাত করিয়া হাতে “টাকুই” ধরায়। কোন একটা জিনিষ আমরা অঙ্গলি নির্দেশে দেখাই ; তাহাতে ও সন্দেহ থাকিলে একটা যষ্টির স্পর্শ দ্বারা বা আঘাতের দ্বারা দেখাইলে আর সংশয়ের সম্ভাবনা থাকে না । কাঠির আঘাতের শব্দ টক বা “টা” । অঙ্গলি নির্দেশেও যখন বলি এইটা” বা ঐ জিনিষ ‘ট্য", তখন