পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*R > 9> 8 } ধবনি-বিচার so নরম জিনিষ কাটিলে “কচ' তয়, আর তারের মত কঠিন ধাতব দ্রব্য কাটিলে ‘কটু হয়। “ক’য়ের পর তালব্য বর্ণ বসিয়া কোমলতা ও মৃদ্ধান্য বর্ণ বসিয়া কাঠিন্যের সুচনা করে। কচু, কচকচ, কচর কচার, কুচকুচি, কুচুর কুচুর, কঁ্যাচ কঁ্যাচ প্ৰভৃতিতে কাগজ, কাপড়, গাছের পাতা প্রভৃতি কোমল জিনিষ কাটার ধ্বনি আসিতেছে । ‘ক্যাচ” শব্দে যে ফুন্ত্রে কাটা যায়, উহা “কঁচি” । যাতা কাটলার DBBBD DD KY DS BDtSDSS S DDD জিনিষকে ‘কচি” বলে ; কচু’র কচুত্ব কি উহার কোমলতা হইতৈ ? কাপড়ের মত নরম জিনিষ ‘কেঁচান।” যায় ; বঙ্গের যে অংশ কুঞ্চিত হয় তাহা ‘কেঁচা।” ; কেঁচার এক অংশ কুঞ্চিত হইয়া “কোচয়” হয় । লেতের মত স্থিতিস্থাপক জিনিষও ‘কেঁচান” বা ‘কেঁচকান” চলে ; চলে বলিয়া বাঁশের কোমল শাখার নাম “কঞ্চি” । ‘কাচলন’ ক্রিয়া ও কোমলতা বা তারল্যের সুচক ; কঠিন দ্রব্য কচলান হয় না। বালি যদি খুব সরু হয় এবং ভিজা হয়, তবেই কিচকিচ’ করে, অন্যথা “কিচিড় কিচিড়ি’ করে। কুচ করিয়া কাটিয়া যে ছোট টুকরা পাওয়া যায়, তাহাকে “কুচি” বা “কৃচো” বলে, যেমন কাঠের “কৃচে” । “কুচিকুচি” ক’রে কাটার অর্থ ছোট ছোট টুকরা করিয়া কাটা । কুচ কুচ করিয়া কাটিয়া ক্ষুদ্র টুকরায় পরিণত করার নাম ‘কুচোন”। ‘কুঁচ’এর ছোট বীজ ংস্কৃত ‘গুঞ্জা’ হইতে আসিয়াছে, কি কুঁচ” সংস্কৃত হইয়া গুঞ্জায় পরিণত হইয়াছে বিচাৰ্য বটে। তালব্য “চ’য়ের মত ‘দন্ত্যবৰ্ণ ‘ত”ও কোমলতাসূচক । ‘কয়ের’ সহিত “ল’ যুক্ত হইয়া আবার কোমলতা ও তরলতর সঠিত চাঞ্চল্য সূচনা করে । হেঁাদল-“কুংকুতে’র ‘কুৎকুৎ’ শব্দ ঐ জন্তুর স্বভাব সম্বন্ধে কি পরিচয় দেয় তাহা পাঠকের বিবেচনা করিবেন। বগলে ‘কুন্তু কুতু’ দিলে সর্বশরীরে যে আক্ষেপ ও তরল আন্দোলন উপস্থিত হয়, তাহা সৰ্ব্বজনবিদিত । খাদ্যদ্রব্য গিলি৭ার কালীন ‘কেঁাং' শব্দের সহিত সংস্কৃত । “কুস্থনের’’ সম্পর্ক থাকিতে পারে। সংস্কৃত কুর্দন ( কোদা ) শব্দের সহিত ঐ আক্ষেপের সম্পর্ক आ|cछ कि ? “কলি ক’ল” “কুলকুল” চঞ্চল জল প্রবাহের ধ্বনি। কালিন্দী জলের “কল্লোলে।” যে ‘কোলাহল” উৎপন্ন হইত, তাতাতে শ্ৰীকৃষ্ণ হ'ষ্টতে শ্ৰীকৃষ্ণের ভক্ত উপাসক পয্যন্ত কুতুঙ্গালী ছিলেন।” ও আছেন । সংস্কৃত নাটকের নেপথ্যে “কল কল’ ধবনির সহিত বাঙলা কিলকিল ও সংস্কৃত "কিলকিলা’র প্রচুর সম্পর্ক আছে । ‘কাল’ ধ্বনির মাধুৰ্য্য কালিন্দীজলের “কল্লোলের” মধুরতারু সমান। পাখীর ‘কাকলি” ও ঐরূপ মধুর। “কোকিলের” কুজন ত মধুর বটেই। ‘কুললে।” করিবার সময় মুখের ভিতর জল কুলকুল করে ; চঞ্চল আন্দোলনপরীত হইতে কি সুপের द७ढा नांना 'कू८व्।' ? অল্প প্ৰাণ ‘প” বর্ণ ‘ক’য়ের পরে বসিয়া উহার দ্রুতগতিকে দ্রুততর করিয়া; তোলে। ‘কপ ক’রে, “কপকপ” ক’রে, ‘কুপকাপ” ক’রে খাওয়াতেই তাহার পরিচয় । এক “কোপে” পাঠা কাটিবার সময় খাড়াখানা নিমেষের মধ্যে পাঠার গলা ছেদন করিয়া চলিয়া যায়.। “কোপ দিয়া কাটার নাম “কোপান” ।