পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन >७>२ ] মাণিক গাঙ্গুলী ও ধৰ্ম্মমঙ্গল y) মদনমোহন বিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠা করেন। উক্ত বিগ্ৰহ এখন বিদ্যমান আছেন। ভাঙ্গামোড়ার বাঁকুড়া রায় ধৰ্ম্মদেব অতি পুরাতন। অনেক গ্রন্থে তাহার নাম উল্লেখ আছে। আমরা পূর্বে মাণিক গাঙ্গুলীর ধৰ্ম্মদেবের উল্লেখের যে অংশ উদ্ধত করিয়াছি, তল্লিখিত অনেক স্থানের ধৰ্ম্মদেবের উল্লেখ সহদেবের ধৰ্ম্মমঙ্গলেও দৃষ্ট হয়। সহদেবের ধৰ্ম্মমঙ্গলের ধৰ্ম্মের উল্লেখ এইরূপ :- “গবপুরে বন্দিৰ স্বরূপ নারায়ণ। আখুটীর ধৰ্ম্ম বন্দো হয়ে এক মন ৷ জাড় গ্রামে বন্দিব ঠাকুর কালু রায়। দিবানিশি কতেক গায়েন গীত গায় ৷ পূর্ব দ্বারী সম্মুখে দামোদর। দুদিকে তুলসী মঞ্চ দেখিতে সুন্দর। বন্দিব বাঁকুড়ারায় ভাঙ্গামোড়া স্থিতি । অনুপম গুণধাম অনন্ত শকতি ৷ সদ্যবংশে উৎপত্তি পণ্ডিত বৃন্দাবন। যাহার সেবায় বশ দেব নিরঞ্জন৷ DKYBDB BDDDDBB BBY DDB BBDSS SKD DLDBD BDYBD TKB BDD S বন্দিপুরে বন্দিব ঠাকুর শ্যামরায়। দামোদর যাহার দক্ষিণে বয়্যা যায়৷” মাণিক গাঙ্গুলী এতদপেক্ষা বহুতর স্থানের ধৰ্ম্মের উল্লেখ করিয়াছেন। এমন কি “গোপাল পুরের কঁকড়া বিছা” এবং “পড়ানের ঘাটের’ বন্দনা করিতেও তিনি ইতস্ততঃ করেন নাই। তিনি বৌদ্ধপ্রভাব এড়াইতে পারেন নাই সত্য, কিন্তু হিন্দু দেবদেবীর প্রতি অসম্মান প্রদর্শনও করেন নাই । তিনি নানা স্থানে তঁহাদের প্রতি সম্যক ভক্তি প্ৰদৰ্শন করত বন্দন এবং মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিয়াছেন। মাণিক গাঙ্গুলীর কবিত্বশক্তি দুর্লভ হইলেও ভাষা সর্বত্র সুলভ নহে। স্থানে স্থানে এমনই দুরূহ অপকৃষ্ট গ্ৰাম্য শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন যে, তাহার অর্থবোধ হওয়া সুকঠিন। এস্থলে দুই একটী গ্ৰাম্য শব্দের উল্লেখ করিলাম :- ভার্স ( ভরসা ), তেহরি ( তিনতার, তেহরি চাপার মালা ), অমিথিয়া, সেঙাতিন, খিতিন, নাগান করিব ( বলিব ), গোতর (শরীর), আচান্ত ( আচমন শেষ করিয়া ), হিসারে, পিত্তয় ( প্রত্যয়)। কিন্তু এ শব্দ-বিতায় আমাদের ধরিবার অধিকার নাই, কারণ কবির প্রার্থনা,- “সুধীকুলে আমার সদত সবিনয় । সুধিবে যদ্যপি থাকে শব্দের বিত্যায়।” শ্ৰীব্রজসুন্দর সান্ন্যাল।