8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ sभ ज९थit রঙ্গপুরের দেশীয় ভাষা রঙ্গপুর, বগুড়া, দিনাজপুরের কতক অংশ এবং সমগ্ৰ কোচবিহার রাজ্যের জনসাধারণের কথিত ভাষাকে ডাক্তার গ্ৰীয়ামসন রঙ্গপুর বা রাজবংশীভাষা আখ্যা প্ৰদান করিয়াছেন। বস্তুতঃ পূর্বোক্ত স্থানসমূহে প্ৰধানতঃ রাজবংশী জাতিরই বাস, সুতরাং তাহাদিগের কথিত ভাষাকে সসীম রঙ্গপুরভাষা আখ্যার পরিবর্তে বিস্তৃত রাজবংশী আখ্যা প্ৰদান করাই সঙ্গত। রাজবংশী ব্যতীত এই সকল প্রদেশে যে বৃহৎ মুসলমান সম্প্রদায় বসতি করিয়া আছে, তাহাদিগের মূল ধরিতে গেলে রাজবংশী প্ৰভৃতি আদিম অধিবাসিগণের নিকটে উপনীত হইতে হইবে। উত্তর বঙ্গের অধিকাংশ ভূভাগ কোচবিহার রাজ্যের হস্ত হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যবন করতলগত হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু অধিবাসিগণের এক অংশ ইসলামধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। অপরাংশ পার্বত্য ও বন্য প্রদেশসমূহে আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়া স্বীয় ধৰ্ম্মরক্ষা করিয়াছিল। অবশেষে কোচবিহার রাজ্যের সহিত মুসলমানগণের সন্ধিস্থাপনের পর তাহারা বিধাৰ্ম্মিগণের অত্যাচারের কবল হইতে রক্ষা পায় । ঐ সকল হিন্দু বিজাতীয় ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত ভ্ৰাতৃগণ হইতে আপনাদিগকে পৃথক করার জন্য তাহাদিগের “নসস” (নষ্ট ) আখ্যা প্ৰদান করে। রঙ্গপুর প্রভৃতি স্থানের জমিদারগণের প্ৰজা-তালিকাদিতে অদ্যপি মুসলমানগণের “নসস” আখ্যা লিখিত হইয়া থাকে। অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে কাচিৎ নাসস আখ্যা ঘুচিয়া পাইকাড়, মণ্ডল, সেখ, সরকার, পরামাণিক প্রভৃতি উপাধি লিখিত হইয়া থাকে। নবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেও এই মুসলমানেরা মাতৃভাষা ত্যাগ করে নাই ; তবে তাহাদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থের পারসীক ভাষা রাজবংশী ভাষার সহিত স্থানে স্থানে মিশ্ৰিত হইয়াছে। ঐ রূপে মিশ্রণ এত স্বল্প যে তাহা গণনীয় নহে । ब्रांड दर्शनी छबिांद्र ठ९vखि । কোন অতীত যুগের মনুষ্যকণ্ঠেখিত শব্দ-সকলের প্রতিধ্বনি রাজবংশীভাষা রক্ষণ করিতেছে, তদ্বিষয় আলোচিত হইলে বহু ঐতিহাসিক তথ্য আবিষ্কৃত হইতে পারে। ইহার শব্দভাণ্ডারে প্রবেশ করিয়া তন্ন তন্ন করিয়া দেখিলে স্পষ্টই প্ৰতীয়মান হইবে যে, বৌদ্ধযুগের পালিভাষা ও বাঙ্গালাভাষার সংমিশ্রণে এই ভাষা গঠিত হইয়াছে অথবা ইহাকে রূপান্তরিত পালিভাষা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। অনেকানেক পালিশব্দ রাজবংশী ভাষার কলেবর পুষ্ট করিতেছে। এস্থলে কয়েকটি মাত্ৰ উদাহরণ প্রদত্ত হইতেছে -
পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
