সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা Sir Treff صbg " দীনেশবাবুরূ"বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” পুস্তকের উদ্ধৃত বাঙ্গালাভাষার প্রাচীন কাব্যাদির ও বৌদ্ধযুগের অপ্রচলিত শব্দতালিকা রাজবংশী ভাষার শব্দতালিকার নামান্তর মাত্র। এতদ্বারা অনুমান হয় যে, এককালে বঙ্গের সর্বত্র রাজবংশী ভাষার প্রচলন ছিল ও তন্দ্বারা কাব্যাদিও রচিত হইয়াছিল। সুতরাং রাজবংশী ভাষাতত্ত্ব বিশেষরূপে আলোচিত হওয়া সৰ্ব্বথা কৰ্ত্তব্য । কেহ কেহ মনে করিতে পারেন যে, রঙ্গপুর, কোচবিহার প্রভৃতি স্থান পূর্বে আসাম সন্নিহিত বলিয়া আসাম দেশীয় আসামী, • মেছ প্ৰভৃতি ভাষার সহিত ঐ সকল স্থানের কথিত রাজবংশী ভাষার সোসাদৃশ্য থাকিতে পারে। বস্তুতঃ আসামীভাষাও সংস্কৃতমূলক বলিয়া বিশুদ্ধ বাঙ্গালার সহিত তাহার যে পরিমাণ সাদৃশ্য আছে, রাজবংশী ভাষার সহিত তদপেক্ষা বিন্দুমাত্ৰ আঁধিক সাদৃশ্য নাই। আর মেছ প্রভৃতি অনাৰ্যভাষার সহিত রাজবংশী ভাষার কোন সম্বন্ধ নাই। এমত অবস্থায় রাজবংশীভাষা, আসামীভাষা বা অনাৰ্য্যভাষা সদ্ভুত বলিয়া উপেক্ষার दह्रै क्राCश् । এক্ষণে আমরা উহার বিতক্তি-চিহ্নাদির বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করিয়া শব্দসংগ্রহে প্ৰবৃত্ত হইব। রাজবংশী ভাষার বিভক্তি চিহ্যিাদি । প্ৰথম বিভক্তিতে প্ৰাকৃতে ‘এ’ সংযুক্ত হইয়া থাকে। রাজবংশীয় ভাষা ঐ নিয়ম লঙ্ঘন করে নাই। যথা-রাজা এ ডাকে,-রাজা ডাকে ; চোরে তামামা নিচে-চোর সমস্ত লইয়াছে ইত্যাদি । প্রাকৃতের ন্যায় দ্বিতীয়াতে রাজবংশী ভাষায় সৰ্ব্বত্র “ক” বিভক্তি চিহ্ন সংযুক্ত হইয়া থাকে { কুত্ৰাপি বাঙ্গালার ন্যায় “কে” সংযুক্ত হয় না। প্রাচীন কবিতাদিতেও এই দ্বিতীয়ার “ক” অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। দীনেশ বাবুর পুস্তকের উদাহরণ যথা—“সে যে ভাৰ্য্যা অনুক্ষণ পতিক চিন্তয়” ; “ভীষ্মক মারিতে যায় দেব ধনঞ্জয়ে” ইত্যাদি। ঐ পতিক ভীষ্মক এবং তোক, মোক, রাজাক ইত্যাদি দ্বিতীয়ান্ত। কারণ, কারকে ‘ত’, ‘দি সংযুক্ত হইয়া থাকে, যথা-“দাও দি হাত কাটচে” “দাওত হাত কাটচে”-দা দ্বারা হাত কাটিয়াছে। অধিকরণেও “ত” সংযুক্ত হইয়া থাকে, কুত্ৰাপি বাঙ্গালার ন্যায় “তে” সংযুক্ত হয় না, যথা-‘হাতত পাঞসা DBSYSDB BBB DDD S SDBS BDBB DBDiSiDB BDBD DD DDBDS S BBY এর পরিবৰ্ত্তে ‘এ’ সংযুক্ত হইয়া থাকে। যথা—“হামরা এ যামো”—আমরাই যাইব । “স্বর’ ও ‘গুলা” শব্দদ্বয়ের যোগে সৰ্ব্বত্র একবচনান্ত পদ বহুবচন হইয়া থাকে যথা-“পাখিগুলী” “ছাওয়ারঘয়’-ছেলেরা ইত্যাদি। রাজবংশীয় ভাষার উচ্চারণগত আরও কয়েকটা বিশেষত্ব এখানে উল্লেখ করিয়া শব্দতালিকা দেওয়া যাইতেছে। শব্দের আদি বর্ণে সংযুক্ত ‘গে’ একশর সর্বত্র “য়্যা” এর ন্যায় উচ্চারিত হইৰুেশেষ-“শুষ্ঠাষ’, বেশ-“ব্যাশ’, কেশ-“ক্যাশ’, দেশ-“দ্যাশ’ এইরূপ পড়িতে হইৰে৷
পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
