দ্বাদশ বার্ষিক কাৰ্য্য-বিবরণী । C কোর্টের উকীল শ্ৰীযুক্ত নিখিলনাথ রায় বি, এল মহাশয় এই প্ৰস্তাবের সমর্থনা করিয়া যোগেন্দ্ৰ বাবুর সহজ সরল সরস ভাষায় লোকের পাঠস্পৃহা কিরূপ জন্মিয়াছিল, তাহাঁই ব্যাখ্যা করিলেন ও প্রাপ্য ইংরেজী ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলির সুলভ প্রচারের উপকারিতার কথা বলিলেন । তৎপরে পরিষদের অন্যতম সহকারী সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত ব্যোমকেশ মুস্তফী মহাশয় এই প্ৰস্তাবের অনুমোদনে বলেন, যোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰ যে সকল কাৰ্য্য করিয়া গিয়াছেন, তাহা অনেকেই বলিলেন ; কিন্তু তিনি যে একজন উপযুক্ত কৰ্ত্ত ছিলেন, তাহার কর্তৃত্বগুণেই বঙ্গবাসীর মতন বৃহৎ কাগজ, বৃহৎ আফিস ও সুলভ গ্ৰন্থ প্রচারের বৃহৎ ব্যবসায়ে সাফল্য ঘটিয়াছে, আমি তাঁহারই উল্লেখ করিতেছি। স্বদেশী আন্দোলনে সফলতা লাভ করিবার জন্য টাউনহলের বক্তৃতায় রবীন্দ্ৰ বাবু যে নায়ক নির্বাচন করিতে উপদেশ দিয়াছেন, আমার বিশ্বাস, যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের মত র্যাহারা কর্তৃত্বপটু এবং কর্তার উপযুক্ত ধীর স্থির গম্ভীর অথচ দয়া দাক্ষিণ্য, ক্ষমা, দূরদৃষ্টি ও বিষয়বুদ্ধিশালী, তাহারাই নায়ক হইতে পারেন । তৎপরে টেলিগ্রাফের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, বি, এ মহাশয় যোগেন্দ্ৰচন্দ্রের নানাবিধ সুকীৰ্ত্তি, সদগুণ, চরিত্রের দৃঢ়তা, গোপন দান, দুঃখের উপকার মহানুভবতা, রসাভাষ, আফিসে কর্তৃত্ব ও অন্যত্র বন্ধুর ন্যায় ব্যবহার প্রভৃতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা “করেন। তৎপরে ষ্টার থিয়েটারের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল বসু মহাশয় বলিলেন,—সময় হইলে ভগবান লোক প্রেরণ করেন। ষোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰ ঐশ্বরূপ প্রেরিত ব্যক্তি। বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা করিলেও সাহিত্যের বিভিন্ন যুগেও এইরূপ অবতারের আবির্ভাব দেখা যায়। যোগেন্দ্ৰ অবতারের কাৰ্য্য-সুলভ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা ও সুলভ সাহিত্য প্রচার । তিনি ব্ৰাহ্মণদের উদ্ধার ও উন্নতি প্ৰয়াসী ছিলেন । তৎপরে সভাপতি মহাশয় অল্পকথায় যোগেন্দ্ৰ চন্দ্রের গুণাবলীর আলোচনা করিলে পর পরিষদের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী এম, এ মহাশয় প্ৰস্তাব করিলেন, সম্প্রতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিবৰ্ত্তিত হইতেছে। এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকায় বাঙ্গলা সাহিত্যের স্থান কিরূপ হইবে, তাহার আলোচনার জন্য এবং এ সম্বন্ধে কৰ্ত্তব্য অবধারণ জন্য সার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মাননীয় বিচারপতি শ্ৰীযুক্ত আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, রায় যতীন্দ্ৰনাথ চৌধুরী, শ্ৰীযুক্ত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও সম্পাদককে লইয়া একটি শিক্ষা সমিতি গঠিত করা হউক । ইহঁরা আবশ্যক বুঝিলে সমিতিতে আরও লোক লইতে পরিবেন। শ্ৰীযুক্ত ব্যোমকেশ মুস্তকী মহাশয়ের সমর্থনে এই প্ৰস্তাব গৃহীত হইল। তৎপরে মিনার্ভা থিয়েটারের কর্তৃপক্ষ ও সভাপতি মহাশয়কে ধন্যবাদ জানাইয়া সভা ভঙ্গ হইল। [ শিয়ারশোল হইতে কুমার শ্ৰীযুক্ত দক্ষিণেশ্বৰ মালিয়া বাহাদুর ও সেরপুর, বগুরার রায় রাধাবল্লভ চৌধুরী মহাশয় সভার কাৰ্য্যে সহানুভূতি জ্ঞাপন করিয়া সম্পাদককে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন, যথাকলে ঐ পত্ৰ উপস্থিত না হওয়ায় সভাস্থলে পঠিত হইতে পারে নাই। পরিষৎ-সম্পাদক। ] শ্ৰীরামেন্দ্ৰক্সান্দর ত্ৰিবেদী সাম্পাদক । শ্ৰীশিবা প্ৰসন্ন ভট্টাচাৰ্য্য সভাপতি ।
পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৩১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
