পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や সাহিত্য পরিষদ-পত্রিকা । [siत्र१ "The Bengali language has now a rich literature that is well worthy of study and Urdu and Hindi are also progressing fairly in the same direction. I firmly believe that we cannot have any thorough and extensive culture as a nation, unless knowledge is disseminated through our own vernaculars. Consider the lesson that the past teaches. The darkness of the middle ages of Europe was not completely dispelled until the light of knowledge shone through the medium of numerous modern languages. So in India, notwithstanding the benign radiance of knowledge that has shone on the higher levels of our Society through one of the clearest media that exist, the dark depths of ignorance all round will never be illumined until light of knowledge reaches the masses through the medium of their own vernaculars,” ইহার ভাবাৰ্থ এই :- “বাঙ্গালা ভাষায় এখন পাঠোপযোগী উৎকৃষ্ট সাহিত্য আছে। হিন্দী এবং উর্দু ভাষারও অপেক্ষাকৃত উন্নতি হইতেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের জাতীয় ভাষায় জ্ঞানবিস্তার না হইলে, আমরা কখনও বহু বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জাতি বলিয়া পরিা१ाविड श्टऊ १ाद्भिद न। অতীত সময় যে উপদেশ দিতেছে, তদ্বিষয়ে বিবেচনা করুন। যাবৎ বহুসংখ্যক আধুনিক ভাষায় জ্ঞানালোক চারিদিকে বিকীর্ণ না হইয়াছে, তাবৎ ইউরোপখণ্ডে মধ্যযুগের অজ্ঞানান্ধকার সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয় নাই । সেই রূপ ভারতবর্ষে একটি অতি বিশুদ্ধ ভাষায় উচ্চশ্রেণীর মধ্যে জ্ঞানালোক প্রসারিত হইলেও, যাবৎ জনসাধারণের মধ্যে তাহদের জাতীয় ভাষায় জ্ঞানরশ্মি প্রবিষ্ট না হইবে, তাবৎ চারিদিকের গভীর অজ্ঞানান্ধকার বিলুপ্ত হইবে না।” পূৰ্ব্বতন বাইস-চানুসেলর মহোদয় এইরূপ দূরদর্শিতাসহকারে সদুপদেশ দিয়াছিলেন। পুৰ্ব্বতন রাজপুরুষগণও বারংবার এইরূপ উপদেশ দিয়া গিয়াছেন । কিন্তু এই সদুপাদেশেও কোন ফল নাই । উক্ত বক্তৃক্ত তার পর একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর পরীক্ষায় বাঙ্গালাপ্ৰাবঅর্জনের প্রস্তাব হইয়াছিল ; কিন্তু ঐ প্রস্তাব কাৰ্য্যে পরিণত হয় নাই। সম্প্রতি আবার এই বিষয়ে প্রস্তাব হইয়াছে। সংস্কৃতের সহিত বাঙ্গালা গ্ৰন্থ একান্ত পক্ষে পাঠ্য নিৰ্দ্ধারিত না হইলেও অন্য উপায়ে উচ্চপরীক্ষার্থী যুবকদিগকে বাঙ্গালাচর্চায় মনোযোগী করা যাইতে পারে । এখন প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় যেমন বাঙ্গালা রচনার নিয়ম আছে, উচ্চতর পরীক্ষায় সেইরূপ বাঙ্গালা রচনার নিয়ম করিলে যুবকগণ বাঙ্গালা ভাষার অনুশীলনে মনোযোগী श्रेंड পারেন এবং ভবিষ্যতে বাঙ্গালা সাহিত্যের পরিপুষ্টিসাধনে যত্নপ্রকাশ করিতে পারেন।