পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>やo সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ মাঘ পরের সৌভাগ্য দেখিলে নিজের মন্দ ভাগ্যের কথা অনেকেরই মনে উদয় হয়। মহাদেবের সুন্দর রূপ দেখিয়া অনেক অভাগিনী নারী আপনাদিগের মন্দ ভাগ্য সম্বন্ধে আক্ষেপ করিতে লাগিলেন। মুকুন্দরামের এই বর্ণনাটী উদ্ধত করা আবশ্যক। দেখিয়া বরের রূপ যতেক যুবতী । একে একে নিন্দ করে আপনার পতি ৷ এক নারী বলে সই মোর গোদা পতি। সদা কোয়া জন্বরের ঔষধি পাব। কথি। ভাদ্রপদ মাসে পায়ে পাকুই দূৰ্ব্বার। গোদে তৈল দিতে মোর উঠয়ে নেকার ৷ ফুলে যদি গোদ কোয়া জ্বর করে বল। কত বা বাটিৰ আর ওকড়ার ফল ৷ প্রভুর দোসর নাহি উপায় কে করে। কাটনার কড়ি কত যোগাব ওঝারে । দাদানি না দেয় এবে মহাজন সবে । টুটিল সুতার কড়ি উপায় কি হবে। দুপণ কড়ির সূতা এক পণ বলে । এত দুঃখ লিখেছিলা আভাগী কপালে। চক্ষু খায়ে বাপ বিয়া দিল হেন বরে। মিথ্যা রাত্ৰি জেগে মারি কি কব গোদারে। গোদের গেজের ফোড়া হয় বিপরীত । পূৰ্ণিমা হইলে তায় বেরয় শোণিত | আর জন্য বলে পতি বঞ্চিত দশন । ঝোলকাল বিনা তার না হয় অশন ৷ কঠিন ব্যঞ্জন আমি সেই দিন রান্ধি। মারিয়ে পিড়ার বাড়ি কোণে বসে কান্দি ৷ আর জন বলে সই মোর কৰ্ম্ম মন্দ । অভাগিয়া পতি মোর দুটি চক্ষু অন্ধ৷ কোন দেশে দুঃখী নাহি সই মোর পারা। কোলে কাছে থাকিতে সদাই হয়। হারা ৷ কেহ বলে মোর পতি বড়ই নিগুণ । কত বা পুলিব দিয়া মা বাপের ধন ৷