পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০১ ] মুকুন্দরাম ও ভারতচন্দ্ৰ। S\2N9 বিভূতি মাখেন গায়, ঝিমিকে ঝিমিকে যায়, ভাগ্যে আছে। পরে বাঘছাল । ভুজঙ্গ বেষ্টিত অঙ্গ, বাজায় ডাম্বুর শৃঙ্গ, গলায় শোভিছে হাড়মাল ৷ কি হবে বিষম সুখ, তাতে পতি পরাজুখে, তারে বলে সবে কাম আরি। সাত সতিনীরা মারে, বুঝিয়া না শাস্তি করে, সাতসতা পরাণের বৈরী ৷ যে ঘরে সতিনী রয়, কামানলে প্ৰাণ দয়, যেমন লাগিয়ে বিষ জালা । বিধি মোরে হৈল বাম, না গণিনু পরিণাম, বনবাসী হইনু একলা ৷ এবে বিধি হৈল সখা, বীর সঙ্গে পথে দেখা, সত্য করি আনে নিজ ঘরে । শুন গো ব্যাধের ঝি, তোমারে বুঝাব কি, এবে আমি যাব কোথাকারে | এই বর্ণনার অনুকরণ করিয়া ভারতচন্দ্ৰ পাটুনীর নিকট অন্নপূর্ণর পরিচয় দান ব্যাখ্যা করিয়াছেন :- ঈশ্বরীরে পরিচয় কহেন ঈশ্বরী। বুঝহ ঈশ্বরী আমি পরিচয় করি। বিশেষণে সবিশেষ কহিবারে পারি। জানহ স্বামীর নাম নাহি ধরে নারী ৷ গোত্রের প্রধান পিতা মুখবংশ জাত। পরম কুলীন স্বামী বন্দ্য বংশে খ্যাত ৷ পিতামহ দিলা মোরে অন্নপূর্ণ নাম। অনেকের পতি তেঁই পতি মোর বাম ৷ আতি বড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ । কোন গুণ নাহি তার কপালে আগুন। কুকথায় পঞ্চমুখ কণ্ঠভরা বিষ। কেবল আমার সঙ্গে দ্বন্দ্ৰ অহৰ্নিশ ৷ গঙ্গা নামে সীতা তার তরঙ্গ এমনি । জীবন স্বরূপ সে স্বামীর শিরোমণি ৷