পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃŠ সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ भांबा সকল গ্রন্থের অধ্যাপনা হয়, তৎসমুদয়ে এরূপ উৎকট প্রাদেশিক শব্দের প্রয়োগ না থাকাই ভাল। “টোকা” বলিলে জিনিষটি কি, তাহ বাঙ্গালার দক্ষিণ এবং পশ্চিম অঞ্চলের লোকে অনায়াসে বুঝিতে পারে, কিন্তু উত্তর পূর্ব অঞ্চলের লোকে “মাথালি” না বলিলে বুঝিতে পারে না। এই জন্য বলিতেছি, সাবধানে প্রাদেশিক শব্দের প্রয়োগ করা উচিত। যে সকল শব্দ বহুলপ্রচার হইয়াছে, সেই সকল শব্দের প্রয়োগ করিলে সাধারণের বুঝিবার পক্ষে তাদৃশ কষ্ট হয় না। বিদেশাগত শব্দের ন্যায় বাঙ্গালার ভিন্ন ভিন্ন প্ৰাদেশিক শব্দ গুলিরও অর্থসহ একটি তালিক করা উচিত। সহৃদয় পাঠকগণ এবিষয়েও মনোযোগী হইলে পরিষদের একটি প্রয়োজন সিদ্ধ হইতে পারে। আমরা পুনৰ্বার বলিতেছি, বাঙ্গালা রচনাপ্রণালীর বিশুদ্ধির দিকে সকলেরই সবিশেষ দৃষ্টি রাখা উচিত। বাঙ্গালা রচনা যেন ফিরিঙ্গী ভাবে কলুষিত না হয়। আমাদের মনে হয়, telmpest in the tea-pot, qê (25f 5 ইংরেজী বাক্য অনুসারে কোন বাঙ্গালা সংবাদপত্রে লিখিত হইয়াছিল “চা-বাটীর মধ্যে তুফান উঠিয়াছে।” ইংরেজী কথাটিতে যে ভােব পরিস্ফুট হয়, উহার অনুবাদে যে অপূৰ্ব্ব বাঙ্গালার সৃষ্টি হইয়াছে, তাহাতে কখনও সে ভাবের উদ্বোধ হয় না। বাঙ্গালী বিদেশ হইতে যে ভাব রাশি সংগ্ৰহ করিবেন, তৎসমুদয় তাহাকে বাঙ্গালীর ভাবে বাঙ্গালায় প্রকাশ করিতে হইবে । বাঙ্গালা রচনা বিজাতীয় বেশে সজ্জিত হইলে তাহা কখনও সাহিত্যের পরিপুষ্টিসাধনে সমর্থ হইবে না। পক্ষান্তরে যে বাঙ্গালা রচনা জাতীয় ভাবের অনুবৰ্ত্তিন, স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যে মনোহারিণী এবং অকৃত্রিমতায় অমৃতময়ী হইবে, সেই রচনা দু:!ই ব{ঙ্গ দুটা সাহিত্য জগতে চির প্রসিদ্ধিলাভ করিবে । উপস্থিত প্ৰবন্ধে যাহা লিখিত হইল, তৎসম্বন্ধে মতভেদ থাকিতে পারে। বিভিন্ন মতের” সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এবিষয়ে বিচার বিতর্ক অবশ্যক ।