পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক প্ৰসঙ্গ । পৌষ মাসের সাধনায় মহারাষ্ট্রীয় ভাষা সম্বন্ধে একটি প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হইয়াছে। লেখক মহাশয় বলেন, এক সংস্কৃত শব্দ বিভিন্ন ভাষায় প্রবিষ্ট হইয়া বিভিন্ন অর্থের দ্যোতক হইয়াছে। প্ৰবন্ধলেখক মহাশয় প্রচলিত বাঙ্গালা এবং আধুনিক মহারাষ্ট্রীয় ভাষা হইতে এইরূপ কতিপয় উদাহরণ প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন ; যেমন ( বাঙ্গালায়) সংবাদ, (মহারাষ্ট্রে ) কথোপকথন। প্রান্ত = প্রদেশ। কুটুম্ব = স্ত্রী, পরিবার। তিরস্কার = স্মৃণা ইত্যাদি। অনেক স্থলে বাঙ্গালায় প্ৰচলিত যে সংস্কৃত শব্দ যে ভাব প্ৰকাশ করে, মহারাষ্ট্রীয় ভাষায় প্রচলিত অন্য সংস্কৃত শব্দ ঠিক সেই ভাব প্ৰকাশ করিয়া থাকে। প্ৰবন্ধলেখক উদাহরণ স্বরূপ ( বাঙ্গালায় ) বৰ্ত্তমান (মহারাষ্ট্রে) বিদ্যমান ; আধুনিক = অৰ্ব্বাচীন ; মনোমালিন্য = শত্রুত প্রভৃতি শব্দের উল্লেখ করিয়াছেন । অনেক স্থলে অপভ্ৰষ্ট শব্দগুলি উভয় ভাষাতেই কিয়ৎপরিমাণে BBBBD DBDBSDDSBBB DD0D S BBD YSuDDBD DBDD S BBBBD DDDS BD ইত্যাদি। আবার বাঘ, সিংহ, হরিণ, ফুল, ফল, যব প্রভৃতি কতকগুলি শব্দ বাঙ্গালায় ও মহারাষ্ট্ৰীয় ভাষায় এক রূপ। মহাত্মা শিবাজীর যত্নে মহারাষ্ট্রীয় ভাষায় পার্সি প্রভৃতির অপভ্ৰষ্ট শব্দের পরিবর্তে অনেকগুলি সংস্কৃত শব্দ সঙ্কলিত হয়। প্ৰবন্ধলেখক ইহার কতিপয় দৃষ্টান্ত দিয়াছেন ; মজুমদার = দেশলেখক, অমাত্য ; নাজীর = উপদ্রষ্টা; মুতালিক = উপমন্ত্রী ; ফাতিলসোজ ( ফিলাসোজি } = স্তম্ভদীপক ; কারখানা = সম্ভারগৃহ, কাৰ্য্যস্থান ইত্যাদি। প্ৰবন্ধলেখক মহাশয় যদি এ বিষয়ের সমগ্ৰ তালিকা প্ৰকাশ করেন, তাহা হইলে ভাল হয়। -长 米 米 মাঘ মাসের সাহিত্যে শ্ৰীযুত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় একজন মুসলমান কবির লিখিত একখানি উৎকৃষ্ট বাঙ্গাল কাব্যের পরিচয় দিয়াছেন। কাব্যের নাম পদ্মাবতী। কাব্যলেখক সৈয়দ আলাওল । এক শত বৎসর হইল, কবিবর সৈয়দ আলাওল, মাগন ঠাকুর নামক একজন ভূম্যধিকারীর আদেশে পদ্মাবতীকাব্যের রচনা করেন। বাঙ্গালার হিন্দু কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যে ইতিহাসংপ্ৰসিদ্ধ বিষয় অবলম্বন করিয়া পদ্মিনীর উপাখ্যান রচনা করিয়াছেন, বাঙ্গালার মুসলমান কবি সেই বিষয় লইয়াই পদ্মাবতী নামক উৎকৃষ্ট কাব্য প্রণয়ন করিয়া গিয়াছেন। মুসলমান কবি আপনার কাব্য পার্সি অক্ষরে লিখিয়া রাখিয়াছিলেন। হামিদুল্লা খা নামক একজন চট্টগ্রামবাসী মুসলমান উহা বাঙ্গালা অক্ষরে প্রকাশ করিয়াছেন। দীনেশ বাবু বলেন, প্ৰকাশকের অনবধানতায় বা অযোগ্যতায় মূল কাব্য খানি অনেক অংশে বিকৃত হইয়াছে। প্রবন্ধে পদ্মাবতী হইতে কয়েকটি কবিতা উদ্ধত হইয়াছে। কবি দিল্লীশ্বরের কারাধ্যক্ষের এইরূপ বৰ্ণনা করিয়াছেন :-