পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩০১ ] , জাতীয় সাহিত্যের আবশ্যকতা কি ? 8S হরণ করিতেছিল, যখন ইয়ুরোপের স্বর্ণকিরীটি সম্রাটগণ আপনি আপন মস্তকোপরি পোপাদিগের পাদুকা বহন করাকেই পরম ধৰ্ম্ম বলিয়া বিবেচনা করিতেছিলেন, এবং যখন ধৰ্ম্মের নামে ইয়ুরোপের ভজনামন্দিরে ও সন্ন্যাসিনিবাসে বিলাসিত ও স্বেচ্ছাচারিতাভ্রোত যুগপৎ প্ৰব্ৰাহিত হইতেছিল, তখন জৰ্ম্মণির এক প্ৰান্ত হইতে মার্টিন লুথার অভু্যাদিত হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন,-পোপ দিগের প্রচারিত ধৰ্ম্মমতসকল সত্য সত্যই খৃষ্টের প্রচারিত মত কি না ? এই চিন্তা তঁহার চিত্তকে আন্দোলিত করিতে লাগিল। এইরূপ অবস্থায় লুথার একখানি বাইবেল দেখিতে পাইলেন । পাইবামাত্ৰ পাঠ করিলেন, পাঠ করিয়া যাহা পাইলেন, তদ্বারা তঁহার সংশয়ান্ধকার ঘুচিয়া গেল, এবং তঁহার অবলম্বিত বিশ্বাস শতগুণে দৃঢ়ীভূত হইয়া উঠিল। তখন তিনি বাইবেল রূপ সুশাণিত আসির সাহায্যে ইয়ুরোপের ধৰ্ম্মসংস্কার করিতে অগ্রসর হইলেন,-জৰ্ম্মণ ভাষাতে বাইবেলের অনুবাদ করিয়া দিলেন । অনূদিত বাইবেল পাঠ করিয়া লোকের চক্ষু ফুটিতে লাগিল,-বাইবেল-লিখিত ধৰ্ম্মে আর পোপ-প্রচারিত ধৰ্ম্মে প্রভেদ কি, লোকে তখন অনায়াসেই অবধারণ করিতে সমর্থ হইল। সুতরাং লুথার প্রবৰ্ত্তিত সংস্কােরাগ্নি তখন বায়ুবিলোড়িত বহিস্তপের ন্যায় দেখিতে দেখিতে দীপ দপ করিয়া সমগ্ৰ ইয়ুরোপের বক্ষে জ্বলিয়া উঠিল। জিজ্ঞাসা করি,-যদি হিন্দুর জাতীয় সাহিত্য না থাকিত, এবং বাইবেলগ্ৰস্থ যদি জৰ্ম্মণভাষায় অনূদিত ন হইত, এক কথায় যদি হিন্দুর ও জৰ্ম্মণের জাতীয় সাহিত্যভাণ্ডারের দ্বার উদঘাটিত না হইত, তাহা হইলে রামমোহন রায় ও লুথর আপনাদের সাধনায় সিদ্ধি লাভে সমর্থ হইতেন কি না ? কখনই না। তার পর জাতীয় সাহিত্য আবিষ্কার কাৰ্য্যেও একান্ত সহায়। ভৌতিক বা আধ্যাত্মিক জগতের নিয়মাবলীর আলোচনা করিতে করিতে আমার মনে এরূপ এক প্রশ্নের DDD DBDBBDBSDD KK BBD u DDD SDD DBB BBBBD DDBD StBDBDB BDBBD DDBB করিতেছে, এবং যে প্রশ্ন তৎসম্বন্ধীয় একটা নূতন তত্ত্বের আবিষ্কার করিতে না পারিলে—একটা নূতন পথ দেখিতে না পাইলে কিছুতেই নিরস্ত হইতেছে না। আমি সেই প্রশ্নের চিন্তায় সর্বদাই ব্যথিত—চিন্তান্বিত-অভিভূত। তন্নিমিত্ত নিদ্রাতে আমার শান্তি নাই,-আহারে আমার শান্তি নাই। অশান্তি ও উৎকণ্ঠীর মধ্যে আমার দিনের পর দিন চলিতেছে। এইরূপ অবস্থায় একদিন প্ৰাতঃকালে পথে যাইতে যাইতে স্তপীকৃত আবর্জনার পার্শ্বে অকস্মাৎ পুস্তকের একখানি ছিন্ন ও জীৰ্ণ পত্ৰ দেখিতে পাইলাম । দেখিয়া উহ। হস্তে লইলাম,-পাঠ করিতে লাগিলাম,-আগ্রহের সহিত পাঠ করিতে লাগিলাম। পাঠ করিতে করিতে শরীর পুলকে পূর্ণ হইয়া উঠিল,-হৃদয় আনন্দে নৃত্য করিতে লাগিল,-শ্বাস-প্রবাহ ঘন ঘন বহিতে লাগিলা-সকল সংশয় তিরোহিত হইল,- আমার প্রশ্নের মীমাংসা হইয়া গেল। যাহা খুজিতেছিলাম,-বহুদিন হইতে খুজিতেছিলাম,-যাহা খুজিবার জন্য দিবসের আরাম ও রাত্রির শান্তি বিসর্জন করিয়াছিলাম,