পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [কাৰ্ত্তিক প্রাচীন পুথির আলোচনা করিয়া বটতলার মহাভারত সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, রামায়ণ সম্বন্ধেও ঠিক সেই সকল কথা বলা যায়। প্ৰফুল্ল বাবুর কথাগুলি এইঃ “গ্রন্থগত দুৰ্দশার কথা আর বেশী করিয়া বলিব কি ? * * বটতলার ছাপার গুণে কোথাও কেতাবের দুই পাত, কোথাও দশ পাত, কোথাও বা অন্তর্নিহিত উপাখ্যান বিশেষ, সমস্তই প্ৰায় সর্বদাই ত বাদ পড়িয়া থাকে এবং বটতলার ছাপাখানা ভেদে পুনঃ বাদের ভাগ এত বিভিন্ন ও বিবিধ যে, কোন দুই ছাপাখানায় কেতাবের সহ এক মিল দেখিতে পাওয়া যায় না । * * কোথাও দুই পংক্তি, কোথাও দশ পংক্তি, কোথাও পৃষ্ঠাকে পৃষ্ঠা এবং কোথাও বা দুই দশ পৃষ্ঠা, কোন কোন স্থানে পুস্তকের বিষয়কে বিষয় পৰ্য্যন্ত সম্পূর্ণতঃ পরিত্যক্ত হইয়া গিয়াছে। * * ঐ রূপ কত স্থানে যে কত উঠান হইয়াছে ও কত স্থানে কত যে পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছে, তাহার সীমা সংখ্যা নাই। * * মোটের উপরে দেখা যাইতেছে যে, (১) আসল গ্রন্থে যাহা আছে, তাহার বহু স্থান বটতলার ছাপার কেতবে একবারেই নাই ; উঠাইয়া দেওয়া হইয়াছে। (২) আসল গ্রন্থের অনেক স্থান বটতলার কেতবে একবারেই পরিবর্তন করা হইয়াছে, এমন কি, উভয়ের মধ্যে তিলমাত্ৰও সাদৃশ্য দেখিতে পাইবার সম্ভাবনা নাই। (৩) তদ্ভিন্ন মাঝে মাঝে দুই পংক্তি বা চারি পংক্তির পরিবর্তন বা নুতন সংযোজন, এ সকল বটতলার ছাপার কেতবে যে কত, তাহার। আর সংখ্যা নাই । (৪) তাহার পর সমস্ত গ্রন্থের মধ্যেই এমন কোন এক পংক্তি অতি বিরল, যাহাতে কিছু না কিছু রূপান্তর না ঘটনা হইয়াছে।” প্রফুল্ল বাবু কৃত্তিবাসী রামায়ণেরও বহু আলোচনার পর এই কথা লিখিয়াছেন, “বরং কাশীরামের মহাভারতে দুই একটা কাশীরামের নিজ লেখনীপ্ৰসুত শব্দ এখনও BBBDB KDES DDSDBSDDBBB DBBD DDD S qDD D BDBD DD BDBDB রামায়ণ বলিয়া বিক্রয় হয়, মূল কৃত্তিবাসী হইতে তাহাকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র গ্ৰন্থ বলিলে অতু্যক্তি হয় না।” আর শ্ৰীরামপুরের রামায়ণের সহিত পুথির এবং এক পুথির সহিত অন্য পুথির তুলনা করিলে দেখা যায় যে, যথাসম্ভব পাঠান্তর, অপপাঠ এবং প্ৰক্ষিপ্তের সমাবেশ ঘটিয়াছে। প্ৰাচীন ও আধুনিক পুথি মিলাইলেও দেখা যায় যে, প্ৰাচীন পুথিতে যাহা নাই, এরূপ দুই দশ পংক্তি, দুই চারিটি পরিচ্ছেদ বা দুই একটি ঘটনা বা উপাখ্যান আধুনিক পুথিতে সন্নিবেশিত হইয়াছে। পাঠান্তরও নানারূপ হইয়াছে। পংক্তি, বাক্য, বাক্যাংশ ও পদের বিপৰ্য্যয় ঘটিয়াছে। কোন এক পুথিতে কোন পংক্তি, বাক্য, বাক্যাংশ বা পদের সন্নিবেশ যে স্থানে যেরূপ আছে, তৎসমুদয় অন্য পুথিতে অন্য স্থানে সন্নিবেশিত বা অন্যরূপ হইয়াছে। ইহার উপর একপদেরও অক্ষরবিন্যাস পুথিভেদে স্থানে স্থানে ভিন্নরূপ হইয়াছে। ঐরূপ ছন্দের,মিলের এবং যতির বিভিন্নতা ঘটিয়াছে। আর অপপাঠেরও অভাব নাই। কোন পুথির সার্থক বাক্য, বাক্যাংশ বা পদ অন্য পুথির নিরর্থক বা অনর্থক বাক্য,বাক্যাংশ বা