পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन् ७७०२] কৃত্তিবাস । CA\9 আবরণাচ্ছন্ন রামায়ণের এইরূপ প্রচার হইতে থাকে। বটতলার কৃপায় এখন এই রামায়ণই কৃত্তিবাসী রামায়ণ বলিয়া পরিচিত হইতেছে। খাট কৃত্তিবাসী রামায়ণের যত টুকু মৌলিকত্ব তর্কালঙ্কার মহাশয়ের পর ও অবশিষ্ট ছিল, বটতলার প্রকাশক মহোদয়দিগের কৃপায় সে টুকুরও অন্তর্ধান হয়। মুদ্রাষন্ত্রের কবলিত হওয়ার এত মহিমা । ‘বটতলার ছাপার গুণে কোথাও কেতাবের দুই পাত, কোথাও দশ পাত, কোথাও বা অন্তর্নিহিত উপাখ্যান বিশেষ, সমস্তই প্ৰায় সর্বদাই ত বাদ পড়িয়াছে ( যত বাদ দেওয়া যায়, ততই গ্রন্থের কলেবর ও সেই সঙ্গে মূল্যের লাঘব ) এবং বটতলার ছাপাখান ভেদে পুনঃ বাদের ভাগ এত বিভিন্ন ও বিবিধ যে কোন দুই ছাপাখানার কেতাবের সহ এক মিল দেখিতে পাওয়া যায় না । এইরূপে মুদ্রাকারের প্রমাদ, অনাবধান, স্বেচ্ছাচারিতা, প্ৰকাশকের সুলভত বুদ্ধির সহিত সম্মিলিত হইয়া কৃত্তিবাসী রামায়ণের যে কি পরিমাণে অঙ্গবৈকল্য ও অবয়বহানির সৃষ্টি করিয়াছে, তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না ।” এখন বোধ হয় বুঝা গেল, কেন কৃত্তিবাসী খাটি রামায়ণে আধুনিকতার আবরণ, ংস্কৃতের প্রলেপ, প্ৰক্ষিপ্তের উৎপাত, পাঠান্তরের সমাবেশ, অপপাঠের বাহুল্য, অঙ্গBBDBDBYYS BBE SDBDDBBDDBDBBBB DBBSBD DDDDDD SS DDBBS gDB BBBD DuuDuDDS SLLSSJ রামায়ণকে কৃত্তিবাসী রামায়ণ বলিয়া নিঃসঙ্কোচে গ্ৰহণ করিতেছি, উহাকে সম্পূৰ্ণ স্বতন্ত্র গ্ৰন্থ বলিলেও বলা যাইতে পারে । এখন উপায় কি ? খাটি কৃত্তিবাসী রামায়ণের কোথায় কিরূপে সাক্ষাৎ পাওয়া যায় ? প্ৰাচীন সাহিত্যের আলোচনার যে সকল শুভ ফল উল্লিখিত হইয়াছে, তাহার প্ৰাপ্তির জন্য ত খাটি গ্রন্থ চাই । তাহা কিরূপে প্ৰাপ্ত হওয়া যায় ? রোগের যখন নির্ণয় হইয়াছে, তখন ঔষধ প্রয়োগ তত দুঃসাধ্য হইবে না । যে বটতলার অত্যাচার হইতে প্রধানতঃ অপপাঠ, অঙ্গবৈকল্য ও অবয়বহানির উৎপত্তি হইয়াছে, সে অত্যাচারের প্রতীকার করা চাই । সেই সঙ্গে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার মহাশয়ের লেখনীর মহিমায় সংস্কৃতের প্রলেপ, আধুনিকতার আবরণ প্ৰভৃতি যে অনাচার ঘটিয়াছে, তাহারও উপায় করিতে হইবে। এরূপ করা তত কঠিন ব্যাপার নহে। বটতলার অত্যাচারের উৎপত্তি ৭০৷৷৮০ বৎসর মাত্ৰ হইয়াছে। ৫০ বৎসর মাত্ৰ হইল, তর্কালঙ্কার মহাশয় কৃত্তিবাসের উপর আপনার কীৰ্ত্তি-পতাকা উডীন করিয়াছেন। সুখের বিষয়, এখনও শত বৎসরের পুরাতন কৃত্তিবাসী পুথি অনেক পাওয়া যায় । ঐ সকল পুথির পাঠের সহিত জয়গোপালের কারিগরি ও বটতলার মুদ্রাকবির তুলনা করিলে আধুনিকতার আবরণ, সংস্কৃতের প্রলেপ, অপপাঠের বাহুল্য এবং অঙ্গবৈকল্য ও অবয়বহানির সংশোধন দুঃসাধ্য হইবে না । তাহার পর পুথিলেখকের আলস্যে, অনবধানতায়, বুদ্ধিহীনতা বা স্বেচ্ছাচারে যে অপপাঠ ও পাঠান্তরের সৃষ্টি হইয়াছে, N a