পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩

সন। ১৩০১] বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ৷৷ ymS) DBDBBDB DBDD gBiDD DBBDBBBDD DBBDBBD DDD DYD BDL DD DDDBBD BBDS বাহবা লইলেন, এরূপও দেখা গিয়াছে। জ্ঞানচর্চায়। এরূপ বাহাদুরীর বিশেষ আবশ্যকতাও নাই, বিশেষ অবকাশও নাই। : রবরের স্থিতিস্থাপকতা ও মধুখের নমনীয়তা অনেক সময়ে কাজে লাগে বটে, কিন্তু ইস্পাতের দার্ট্য উভয়ের অপেক্ষা মূল্যবান । জ্ঞানচর্চার সময় দার্ট্য ও কাঠিন্যে দৃষ্টি রাখিতে গিয়া সরসতা ও কোমলতা যে বিসর্জন দিতে হইবে, এরূপ কেহ যেন না বুঝেন। সরসতা ও কোমলতা যদি উন্নত । BBBBD DBBBB DBBDBS SDBBD DBD DDBD SDDBD DBYDS SDDBBDB BBDB DDDD DDD হাতিয়ার হিসাবে ধরিলেও, যদি হাতিয়ারের কাৰ্য্যকারিতা বজায় রাখিয়া তাহাতে একটু পালিশ, একটু চাকচিক্য, একটু কারুকাৰ্য্য দিতে পারা যায়, তাহা মন্দই বা কি ? শুধু তাহাই নহে,ভাষার যাহা মুখ্য উদ্দেশ্য,কোমলতা ও সরসতা সেই উদ্দেশ্য সাধনের প্রধান সহায়। অল্প সময়ে অধিক কাজ করিতে হইবে, মনুষ্যজীবনের সফলতার এইটি মূল মন্ত্র । শারীরিক ও মানসিক শ্রমসংক্ষেপ জীবনযাত্রায় আবশ্যক, জীবনের সার্থকতার অনুকুল । সুতরাং ভাষা কোমল, প্ৰাঞ্জল, সরল হইলে উহার সার্থকতা বৃদ্ধি পায় ; জ্ঞানবিস্তারের আনুকুল্য ঘটে। প্রথম শিক্ষার্থীর সমীপে পুনঃপুনঃ “দ্ব্যক্সজানায়িত অঙ্গারক” শব্দ প্ৰয়োগ করিলে শিক্ষানুরাগী উত্তম বালকেরও রসায়নবিদ্যার প্রতি প্ৰণয় না জন্মিতে sts জ্ঞানবৃদ্ধি সহকারে বিজ্ঞানের ভাষার পরিধি ও প্রসার বিস্তৃত হয়। ভাষা নূতন ভাবে গঠিত হয়। নূতন শব্দ সঙ্কলন করিতে হয়, নূতন শব্দের সৃষ্টি করিতে হয়। এবং উল্লিখিত কয়েকটি সুত্ৰ মনে রাখিয়া ভাষাপ্রণয়নে প্ৰবৃত্ত না হইলে উদ্দেশ্যসাধনে ব্যাঘাত ঘটে । সুতরাং র্যাহারা জ্ঞান প্রচারে ব্ৰতী, তত্ত্ব প্রচার ও সত্য প্রচারযাহাদের ব্যবসায়, তাহাদিগকে বিষয়ের গৌরববোধে সাবধান হইয়া চলিতে হইবে। পাশ্চাত্য জাতির সহিত অকস্মাৎ আমাদের সংঘর্ষ ঘটিয়াছে। পাশ্চাত্য জাতির বহুশ্রমাহত বহু যত্নলব্ধ জ্ঞানভাণ্ডার আমাদের সম্মুখে অকস্মাৎ প্রসারিত হইয়াছে। পার্থিব অন্য ঐশ্বৰ্য্যের সহিত জ্ঞানৈশ্বৰ্য্যের সনাতন বিভেদ আছে। পার্থিব ইত্যর ঐশ্বৰ্য্যে যেরূপ ব্যক্তিগত অধিকার আছে, জ্ঞানৈশ্বৰ্য্যে সেরূপ ব্যক্তিগত অধিকার নাই। আমরা ইচ্ছা করিলে, আমরা যত্ন করিলে, অপরের সঞ্চিত এই অতুল অক্ষয় সম্পত্তিরাশি আমাদের করিয়া লইতে পারি। ইহাতে ব্যক্তিগত, সম্প্রদায়গত বা জাতিগত বিরোধ বা বৈরিতা নাই। এক্ষণে যদি আমরা অলস হইয়া এই ঐশ্বৰ্য্য আত্মসাৎ করিতে পরাঙ মুখ হই, তাহাতে যে ক্ষতি, যে লজ্জা, যে পাপ, আমাদিগকে তাহার ফলভাগী হইতে হইবে। রত্নাকরের পাপের কেহ ফলভাগী হইতে চায় নাই , আমাদেরও এই মহাপাতকের ফলত্যাগী হইতে অপারে আসিবে না। বাঙ্গালী যদি আপনার মনুষ্য