পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬/ ভূদেব মুখোপাধ্যায়। যদি ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়, হিন্দুর পরিশুদ্ধ জাতীয় ভাবের বিষয় যদি একবার স্মৃতিপথে উদিত হয়, তাহা হইলে স্পষ্ট বোধ হইবে, হিন্দু পূর্বে কখনও জাতীয়ভাবে বিসর্জন দিয়া, বিজাতীয় ভাবের আশ্রয় গ্ৰহণ করেন নাই । হিন্দু যখন পঞ্চনদের পবিত্ৰ ভূমিতে-পুণ্যসলিলা সরস্বতীর পুলিন দেশে লোকসমাজের হিতার্থে পরাশক্তির ধ্যান করিতেন, তখন তিনি জাতীয় প্রকৃতিবিরুদ্ধ বা জাতীয় সমাজবিরুদ্ধ কোন কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করেন নাই। হিন্দু যখন শাস্ত্রানুশীলনে অপূৰ্ব্ব জ্ঞানগরিমার পরিচয় দিতেন, তখন তিনি বিজাতীয় ভাবে পরিচালিত হইয়া, হিন্দুত্বের অবমাননা করেন নাই। হিন্দু যখন রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া, শাসনদণ্ডের পরিচালনায় ব্যাপৃত থাকিতেন, তখনও তিনি হিন্দুত্বের সেই বিশুদ্ধ পথ, লোকপালনী শক্তির সেই পবিত্ৰ ভাব, সৰ্বোপরি ব্ৰহ্মপরায়ণ ব্ৰাহ্মণের সেই সদুপদেশ বাক্য হইতে অণুমাত্র বিচDDB DBBB DDD SSDBB DBDBDDBDBDDB BBB DDD D0 DDBDBDBD DBDSS BBD BBB বন্ধন দীর্ঘকাল অবিচ্ছিন্নভাবে থাকে নাই। দৃশদ্বতীর তীরে পৃথ্বীরাজের অধঃপতনের সহিত হিন্দু নিয়তির নিকটে মস্তক অবনত করে। হিন্দুসমাজে মুসলমানের রীতি নীতি প্রবিষ্ট হয়। হিন্দু মুসলমানের ভাষা শিক্ষা করে, মুসলমানের গ্রন্থপাঠে আমোদিত হয়, মুসলমানের পরিচ্ছদ ও আচার ব্যবহারের অনুকরণে যত্নশীল হইয়া উঠে, শেষে মুসলমানের সহিত বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন পূর্বক আপনাকে সৌভাগ্যশালী বলিয়া মনে করে। মুসলমানের পর আর একটি পরাক্রান্ত জাতির সহিত হিন্দুর সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। এই জাতি যেরূপ শক্তিশালী, সেইরূপ সাহসসম্পন্ন, যেরূপ জাতীয়-জীবনে সঞ্জীবিত, সেইরূপ সভ্যতাভিমানী, যেরূপ দূরদর্শী, সেইরূপ গভীর শাস্ত্ৰজ্ঞানে গৌরবান্বিত। মুসলমান হিন্দুর বসতিস্থলে যে ক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেন নাই, এই জাতি তাহ অপেক্ষা অধিকতর ক্ষমতার পরিচয় দিয়া হিন্দুকে চমকিত করিয়া তুলে। হিন্দু আবার মুসলমানের পরিবর্তে এই জাতির পক্ষপাতী হয়, এবং এই জাতির সাহিত্য ও ইতিহাস্যাদি পাঠ করিয়া এই জাতির অনুকরণে ব্যগ্ৰ হইয়া, আত্মবিশ্বত হইতে থাকে। এইরূপে পাশ্চাত্য শিক্ষাস্রোতে হিন্দুর হিন্দুত্ব বিচলিত হয়। কিন্তু হিন্দু জ্ঞানগৌরবে বা বুদ্ধি-বৈভবে পৃথিবীর কোন জাতি অপেক্ষা হীন নহে। যখন অপরাপর জাতি ধীরে ধীরে সভ্যতাসোপানে অধিরূঢ় হইতেছিল, তখন হিন্দু সভ্যতার পূর্ণ বিকাশে চির মহিমান্বিত হইয়াছিলেন। গ্রীস যে সময়ে বাল্য-লীলা-তরঙ্গের আমোদ লাভ করিতেছিল, রোম যে সময়ে আত্মগৌরব প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রীসের মুখপ্রেক্ষী ছিল, জৰ্ম্মণি যখন আরণ্য মৃগকুলের বিহারক্ষেত্ররূপে পরিচিত হইতেছিল, এবং ফ্রান্স ও ইংলণ্ড যখন ভীমমূৰ্ত্তি নরশ্বাপদ দিগের