পাতা:সিমার - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে । আমি এগিযে গেলাম । ওঁরা আমায় প্রথমে কেউ কোনো কথা বললেন না । গাড়িতে স্বল্প কিছু বাক্সপেটরা ওঠানো হলে শিরিন উঠলেন । কুন্তলও উঠে বসলেন । তারপর সাদিকমামা আমার দিকে চেয়ে বললেন—তুমিও ওঠে ।--আমি কোনো কথা না বলে নিশূপ গাড়িতে গিয়ে বসলাম । শেষে মামা আমার পাশে এসে বসলেন । গাড়ি ছেড়ে দিল । মামা বললেন-অনেক দিন তোমায় খুঁজছি। ঢ়ের কথা আছে তোমার সাথে । কোর্টে কথা বলবার ফুরসত হয়নি । আমরা এখন প্রথমে থানায় গিয়ে ডাইরি লেখােব। পরে মাড়োয়ারির ঘরে গিয়ে তালা ভাঙিব । সবই কুন্তলের ইচ্ছে । মোক্তারমামার নির্দেশ । আমাদেব মামলাটা গোডাতেই কাঁচা ছিল ; হেরে যাব জানতাম । শিরিনও কোর্টে দাঁড়িয়ে মাথা ঠিক বেখে উপযুক্ত জবাব দিতে পারেনি । তোমার মা যে ওই ধারা বলতে পারেন, ও নাকি এখনও সেকথা ভাবতে পারছে না । কুন্তল পাশে থেকে তেতো করে বললেন-হাজী যে কত বড়ো জল্লাদ সেকথা একবারও শিবিন বলতে পারত, ওকে একদিন মেরেছে পাখার ডাঁটি ভেঙে, সেকথা বলা কি যেত না ? শিরিন বললেন-ওটা কোনো অত্যাচাব নয় কুন্তল । ওব অত্যাচারের আসল চেহারা কেউ দেখেনি । ATAiLeB B S SBD DBDD DD S -সেকথা বলা যায় না, কুন্তল ! -(दन्। यों कीं ? --তুমি ঠিক বুঝবে না । বুকু কোর্টে এসে রিকশা থেকে নেমেই রাজাকে আমার কাছে ইশারায় ঠেলে দিলে, সে-দৃশ্য কেউ তোমরা দেখনি । রাজার মুখ দেখে আমার ভেতরটা কেমন হয়ে গেল, সাদিক । সাদিক বললেন-কিন্তু তোমার মুখ দেখে বুবুর তো কিছু হল না ? শিরিন আর কোনো কথা বললেন না । কুন্তল বললেন-তুমি চেয়েছিলে বুকু তোমার সব ফয়সালা করে দেবে ! দরকার হলে সাদিকের সাথে বিয়ে দিয়ে ফুলশয্যার বিছানা পেতে দেবে । চমৎকার ! গাড়ি এসে থানার কাছে থামল। কুন্তল আর সাদিক নেমে গেলেন। পনেরো মিনিট সময় লাগল। ওঁদের । সেই ফাঁকে মাসির সাথে আমার কিছু কথা হয়েছিল। বললাম।--তুমি সাদিকমামাকে নিয়ে খেলা করলে, খালামা । বেচারি এখন কী করবেন ? --তুমিও এমনি করে বলছি, মিনু ? মাসি অস্ফুট ডুকরে উঠলেন । বললেন- সব দোষ আমারই হল ? কোর্ট যে আমার কথা ভালো করে শুনতেও Sves