পাতা:সিমার - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে, তুমি কি জানতে । সে ইচ্ছে করলেই তোমার সাথে আমার বিয়ে দিতে পারত। তার জন্যই আমার কলেজে পড়া হলো না। ভাইকে উদ্ধৃদ্ধ করে আমার কলেজে পড়া বন্ধ করে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব করল। বললে, তুমি আমায় এখন বিয়ে করতে চাও না, কোনোকালে করবেও না, তোমার অ্যাম্বিশন অত্যন্ত হাই ! তা ছাড়া তুমি হয়তো মুসলমান মেয়েই বিয়ে করবে না । জানি না, সত্যিই छूधि उा 5ाश्ठ किना ! হাসতে হাসতে বললাম, সে তো দেখতেই পাচ্ছি, অ্যাদিনও আমি অপেক্ষা कgद्ध एवांछेि । রাবেয়া বলতে লাগল, সে যাই হােক, হামিদুল ভয়ে ভয়ে এই কাজ শুরু করে দিলে। ভাইয়ের মন ভাঙিয়ে দিলে। ভাই দেখল, হামিদুলও তো রাবেয়াকে ভালোবাসে। লোকে জানল, তুমি আমাকে বিট্রে করলে বলে বন্ধু বন্ধুর কাজ করছে। অত বড়লোক হামিদুল, আমরা কত গরিব । এক কানাকড়ি পণ চায় না। শিকদারের পো । লোকে জানল, হামিদুল কত-না করুণাপরায়ণ মেয়েদের জন্যে, কত মহৎ এবং বড় মনের মানুষ । ভেতরে ভেতরে তার জোরাজুরির স্বভাবটা তো কেউ টের পেল না । তোমার মেধা, তোমার মস্তিষ্ক তাকে বরাবর ভয় দেখায়, তোমার অন্ধ ভালোবুসা তাকে সাহস জোগায়। এই তো দেখছি মামুন, আমি তোমায় ভালোবাসি। এ জিনিস সে একদম সইতে পারে না ! অথচ সত্য ভালোবাসার ধর্ম এ নয় । বললাম, বুঝতে পারছি রাবেয়া, তুমি ওকে সুখী হতে দিচ্ছ না। রাবেয়া কাঁদতে কাঁদতে বললে, আমি নই মামুন । তুমিই সব শান্তি নষ্ট করেছ । তোমার জন্যে সে আমায়। তালাক দিয়েছে । এই বিকালবেলায় এই দুর্বিষহ দ্বন্ধের আঘাত মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তুলেছিল। আমি ধীরে ধীরে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম, বাইরে মেঘ ডেকে বৃষ্টি শুরু হলো । রাত্রি তখন ঢের হয়েছে, হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল । আমার বুকের উপর মাথা রেখে রাবেয়া ঘুমিয়ে পড়েছে, এবং এমনভাবে জড়িয়ে অসংবৃত হয়ে শুয়েছে, তাকে ছাড়াতে গেলে, ছাড়ে না। তার শরীরের রক্ত-সম্পন্দন এবং সুরভিত ব্ৰাণ একাকার হয়ে আমার দেহে মনে প্রবাহিত SEC তাকে জোর করে ছাড়িয়ে উঠে পড়লাম আমি । সুইচু অন করে দিতেই আলো জ্বলিল ঘরে । দেখলাম, উপুড় হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে রাবেয়া, হাতের মুঠিতে কোচকানো বিছানার চাদর, সমস্ত শরীর ঘামে সিক্ত। ফুলে ফুপিয়ে 使役