ছিলেন,—তাহারই বিচার উপস্থিত। সে বিচারে মহারাজ পরাস্ত হইলেন। নবাব-দরবারের আদেশে তাঁহাকে অবিলম্বে ইংরাজ বাণিজ্য রক্ষা করিতে হইল। এতদুপলক্ষে নবাব-দরবার হইতে যে মীমাংসাপত্র বাহির হইয়াছিল, ইংরাজগণ তাহার ইংরাজী অনুবাদ সযত্নে রক্ষা করিয়াছেন।[১]
এই ব্যবহারের সঙ্গে রাজবল্লভের ব্যবহারের একটু তুলনা করা আবশ্যক। রাজবল্লভ ইংরাজদিগের নিকট বন্ধু বলিয়াই পরিচিত। ইংরাজ যখন সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে প্রকাশ্য শত্রুতায় লিপ্ত হন, রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণবল্লভ তখন ইংরাজ-দুর্গে আশ্রয় লইয়াছিলেন। কিন্তু রাজবল্লভ যখন ঢাকার নবাব বলিয়া পরিচিত ছিলেন, সে সময়ে তিনি বিনা কারণে ইংরাজদিগের দুর্গতির একশেষ করিয়া ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। রাজবল্লভ একবার নজর তলব করিয়া পাঠাইলেন, ইংরাজ তাহাতে ভ্রূক্ষেপ করিলেন না;—অমনি রাজবল্লভ ইংরাজদিগের গোমস্তাবর্গকে কারারুদ্ধ করিলেন, ইংরাজের বাণিজ্য বন্ধ করিয়া দিলেন এবং বাখরগঞ্জ হইতে ঢাকা অঞ্চলে নৌকাপথে ইংরাজ-বণিকের যে সকল চাউল ধান আসিতেছিল, তাহা আটক করিয়া ফেলিলেন;রাজবল্লভের শাসনে লোকে সাহস করিয়া আর ইংরাজের চাকরী করিতেও স্বীকৃত হইল না![২] রাজবল্লভ পার্ব্বণী আদায়ের বা নজর আদায়ের উপলক্ষ করিয়া প্রায় মধ্যে মধ্যেই এরূপ ব্যবহার করিতেন।