পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৮
সিরাজদ্দৌলা

কি মিল, কি থরন্‌টন্, কেহই টানার দুর্গাক্রমণ-কাহিনীর কোনরূপ আভাষ প্রদান করেন নাই।

 আর একজন ইংরাজ-লেখক আবার লিপিকৌশলে মিল এবং থরন্‌টন্কেও পরাজয় করিয়া, লিখিয়া গিয়াছেন যে, “কি সিরাজদ্দৌলা, কি পাত্রমিত্রগণ, কেহই ইংরাজদিগের সকরুণ আবেদনে কর্ণপাত করিলেন না; অসহায় ইংরাজদিগের সর্ব্বনাশসাধনের জন্য সকলেই সসৈন্যে অগ্রসর হইতে লাগিলেন; ন্যায় ও ধর্ম্মানুমোদিত সুবিচার লাভের পথ একেবারেই অবরুদ্ধ হইয়া গেল।”[১] আমরা কিন্তু ইংরাজলিখিত ইতিহাস পড়িয়া দেখিতে পাইতেছি যে, সকরুণ আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে ইংরাজ সেনার সগর্ব্ব আস্ফালন এবং কামানমুখে অনলবর্ষণ!

 কলিকাতার কালা বাঙ্গালীদিগের উপর সিরাজদ্দৌলার কিরূপ স্নেহদৃষ্টি ছিল, তাহার পরিচয় ক্রমশঃ প্রকাশিত হইতে লাগিল। সকলেই বুঝিতে পারিলেন যে, কেবলমাত্র ইংরাজ-বণিকের উদ্ধতব্যবহারের সমুচিত শিক্ষাদানের জন্যই সিরাজদ্দৌলা সসৈন্যে শুভাগমন করিতেছেন। তখন ইংরাজদিগের অন্তরাত্মা কাঁপিয়া উঠিল। তাঁহারা এতদিন ঘসেটি বেগমের শুভদৃষ্টিলাভের জন্য রাজবল্লভের পুত্র পলায়িত কৃষ্ণবল্লভকে পরম-সমাদরে কলিকাতায় আশ্রয়দান

  1. No one dared to plead for the unfortunate English and the Subah, surrounded by a thousand greedy minions, and hanging officers, all eager for the plunder of so rich a place, heard nothing but the most servile applauses of his resolution. Thus the avenues to justice and mercy were shut up, and all our submissive offers ineffectual.—Scrafton.