হলওয়েল ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দে ডাক্তারি করিবার জন্য এদেশে পদার্পণ করিলে, কলিকাতার ইংরাজ-দরবার তাঁহাকে কলিকাতার কলেক্টর পদে নিযুক্ত করেন। এই কার্য্যে হলওয়েল মাসিক ৫০০ টাকা বেতন পাইতেন, ইহা ভিন্ন সেকালের রীত্যনুসারে নজর, ভিক্ষা, পার্ব্বনী প্রভৃতিতেও বিলক্ষণ আয় হইত।[১] তিনি কলিকাতার “কালা আদ্মীদিগের” উপর বড়ই উৎপীড়ন করিতেন বলিয়া সিরাজদ্দৌলার বিশ্বাস হইয়াছিল, এবং সেই জন্য এ কথা কাশিমবাজারের মুচলিকাপত্রেও লিখিত হইয়াছিল।[২] কলিকাতাজয়কালে হলওয়েল সর্ব্বস্বান্ত হইয়া মুসলমান সেনাপতির আদেশে মুর্শিদাবাদে কারারুদ্ধ হইয়াছিলেন! পলাশির যুদ্ধাবসানে মীরজাফরের অনুকম্পায় হলওয়েল লক্ষ টাকা পুরস্কার,[৩] এবং যথাযোগ্য ক্ষতিপূরণ লাভ করিয়া কলিকাতার নিকটে ১২৩৫০ টাকা মুল্যের জমিদারী ক্রয় করেন;[৪] ১৭৬০ খৃষ্টাব্দে দিনকতক কলিকাতার গভর্ণর হইয়া বিলাতের কর্ত্তৃপক্ষের সঙ্গে কলহ করিয়া সেই বৎসরেই পদত্যাগ করিতে বাধ্য হন। অবশেষে ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে বিলাতে তাঁহার জীবনলীলার অবসান হয়।[৫] যিনি মীরজাফরের কৃপায় আশাতীত পুরস্কার ও পদগৌরব লাভ করিয়া তাঁহার
পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২০
সিরাজদ্দৌলা।