পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৮
সিরাজদ্দৌলা।

the edge of the sword which is ready to fall on the heads of your subjects.

 If you have any cause of complaint against Mr. Drake, as it is but just that the master alone should have a power over his servant, send your complaints to the Company, and I will answer for it they will give you satisfation.

 Although I am a soldier as well as you, I had rather receive satisfation from your own inclination to do justice, than be obliged to force it from you by the distress of your innocent subjects”[১]

 এই পত্রখানি যখন সিরাজদ্দৌলার হস্তগত হইল, তৎপূর্ব্বেই হুগলীর লুণ্ঠনকাহিনী তাঁহার কর্ণগোচর হইয়াছিল। তিনি ইংরাজদিগের উদ্ধত ব্যবহারে চিরদিন যেরূপ উত্ত্যক্ত হইয়াছেন, ওয়াট সনের পত্রেও তাহাই হইল। সিরাজদ্দৌলা মুসলমান,—ওয়াট সন্ সুসভ্য খৃষ্টীয়ান; সুতরাং মুসলমান নবাব খৃষ্টীয়ান সওদাগরের ধর্ম্মনীতির যুক্তিতর্ক ভাল করিয়া বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না। ইংরাজেরা বাক্য-নবাব; ‘যাহা বলি তাহাই কর, যাহা করি তাহার অনুকরণ করিও না’—এই নিগূঢ় নীতি-রহস্যের উপাসক; পরকার্য্য-সমালোচনায় প্রগাঢ় পণ্ডিত; আত্মকার্য্য লইয়া কেহ সমালোচনা করিতে চাহিলে অগ্নিশর্ম্মা হইয়া উঠেন; কার্য্য যেরূপ হয় হউক, বাক্যে তাহার দোষক্ষালনের সময়ে সকলেই পঞ্চমুখে ইংরাজের গুণগান করিতে লালায়িত;—সিরাজদ্দৌলা তরুণযুবক, তিনি ইংরাজ চরিত্রের এইরূপ সমালোচনা করিয়া ইংরাজের নামে শিহরিয়া উঠিতে শিক্ষা করিয়াছিলেন। যাঁহারা পদাশ্রিত বণিক হইয়াও হুগলীর নিরপরাধ নাগরিকদিগকে (কেবল-

  1. Ive's Journal.