পাতা:সুকথা - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪
সুকথা

মাত্র বিচলিত হইতেন না। কোন ব্যক্তির গুণের পরিচয় পাইলে তিনি অকুণ্ঠিত চিত্তে তাহার প্রশংসা করিতেন, এবং কোন প্রকার অনুগ্রহ না পাইয়াও কর্ত্তব্য কর্ম্মে কিঞ্চিন্মাত্র শিথিলতা প্রদর্শন করিতেন না।

একদা গৃহ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবার সময় মাতৃগুপ্তের প্রতি রাজার দৃষ্টি নিপতিত হইল; অনাহারে কবির দেহ শীর্ণ হইয়াছিল, একখানি মলিন ও ছিন্ন বস্ত্রে তাঁহার অঙ্গ আবৃত ছিল, অথচ তৎপ্রতি তাঁহার দৃক্‌পাত নাই; প্রভুর আদেশের জন্য তিনি স্থিরভাবে প্রতীক্ষা করিতেছেন। মাতৃগুপ্তের অবস্থা দেখিয়া রাজার চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হইল, তিনি নিজকে ধিক্কার দিয়া ভাবিতে লাগিলেন,—এই পরম যোগ্য ব্যক্তিকে পরীক্ষা করিবার উদ্দেশ্যে আমি কত না কষ্ট দিতেছি! শীতগ্রীষ্মে