পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊलश নিজের একছড়া হার পাঠাইয়া দিয়া এ অপবাদের হাত ঠাইতে স্বামীকে রক্ষা করিতে হইবে। তার পর সে যেন কি ভাবিয়া উপরে চলিয়া গেল এবং গহনার বাক্স খুলিতেই গালে হাত দিয়া সেইখানে বসিয়া পড়িল। বাক্স একবারে শূন্য পড়িয়া আছে, তাহার মধ্যে একখানি অলঙ্কারও নাই। তাহার মেয়ের অন্নপ্রাশনের সময় তাহার বাপের বাড়ী হইতে খুকীকে যে হারছড়া ও কয়গাছি চুড়ি দিয়াছিল, তাহাও নাই। সে যে বড় আশা করিয়াছিল, তাহার নিজের হার পাঠাইয়া বউদিদির ঋণ শোধ করিবে! হা ভগবান, এমনই করিয়া তাহার শেষ আশা নিৰ্ম্মল করিয়া দিলে! তাহার স্বামী যে তাহার কোন অনুরোধ উপরোধের প্রতি ভ্ৰক্ষেপ না করিয়া সৰ্ব্বনাশের পথে অগ্রসর হইতেছে এটা সে বুঝিতেছিল, কিন্তু ব্যাপার যে এতদূর গড়াইয়াছে, তাহা সে ভাবিতে পারে নাই। তাহার অন্তর কঁপিয়া উঠিল, আর বুঝি পথে দাড়াইবার বিলম্ব নাই! সে ভগবানকে প্ৰাণপণে ডাকিয়া বলিতে লাগিল, “হে হরি, তোমায় এত করিয়া ডাকিলাম, তবুও একবার অভাগিনীর প্রতি মুখ তুলিয়া চাহিলে না, দয়া করিলে না! এখনও তাকে সৰ্ব্বনাশের পথ হইতে ফিরাইয়া আনিয়া দাও ঠাকুর!” । রাত্রি প্রায় একটা। খুকীকে শোয়াইয়া দিয়া শশী উপী চিত্তে স্বামীর জন্য বসিয়াছিল। এমন সময় সুরেশ টালিতে টলিতে বাটীর মধ্যে প্ৰবেশ করিল। তাহারু সারা দেহে কাদা মাখা । জামার পিছনের দিকটা একেবারে ছিাড়িয়া গিয়াছে। পায়ে (t