পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলেয়া WY"MATAM**rArnes সুরেশ পত্নীর কঁধের উপর মাথা রাখিয়া কহিল, “তুমি কিছু জান না। তাই একথা বলছি। আমি যে তোমাদের পথের ভিখারী আধা কড়িতে বেচেছি-তোমার বউদিদির গয়না ফাকি দিয়ে * এনেছি।-”, শশীর বুকটা কঁপিয়া কঁপিয়া উঠিলেও সে তাহ সামলাইয়া লইয়া বাধা দিয়া কহিল, “ওগো তোমার পায়ে পড়ি, ও সব কথা শুনিয়ে না-আমার গয়নায় দরকার নেই ; ভগবান তোমায় যে সুমতি দিয়েছেন এই আমার যথেষ্ট। তুমি পুরুষমানুষ, তোমার আবার ভাবনা কিসের, যা গেছে আবার ফিরে আসতে কতক্ষণ!” সুরেশ কঁাদিয়া ফেলিল, ক্ৰন্দনজড়িতকণ্ঠে কহিল, “পাড়ার লোকের কাছ থেকে ফাকি দিয়ে টাকা নিয়েছি, তারা পথেঘাটে আমায় জোচ্চোর বলে গাল দিচ্ছে। কাবুলিওয়ালার কাছে টাকায় দুআনা সুদে দশ টাকা ধার করেছি, কাল, সন্ধ্যে থেকে তারা সুদের জন্যে লাঠি হাতে আমার পেছনে পেছনে বেড়িয়েছে-শাসিয়ে গেছে। কাল পথে ধরে মারবে, আমায় খানিকটা বিষ এসে দাও শশি, আমি তাই খেয়ে মরি। আমি আর সহ করতে পারছি না ! হায়, হায়, কেন তোমার কথা শুনিনি ।” ( . শশীরও দুই চক্ষু দিয়া জল গড়াইয়া পড়িতেছিল। সে স্বামীর মাথায় হাত বুলাইতে বুলাহঁতে কহিল, “তুমি অমন কর না, ঠাণ্ড হও, ভয় কি, আমার এই মাদুলিটি বেচে কাল সকালে উঠে እsፃ