পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার কাবুলিদের টাকা কটা ফেলে দিও। তারপর বাড়ীঘর বেচে লোকের টাকা ফেলে দিলেই হ’বে।” এই বলিয়া শশী মাদুলিটি খুলিয়া স্বামীর হাতে তুলিয়া দিল। সুরেশ নির্বক নিম্পদ হইয়া সেই ভাবে তাহার কঁধের উপর মাথা রাখিয়া পড়িয়া রহিল। এমন সময় পাশের ঘরে খুকী কঁাদিয়া উঠিল। শশী স্বামীকে ৭ ধীরে ধীরে শোয়াইয়া দিয়া খুকীর কাছে উঠিয়া গেল। তারপর খুকীকে কোলে করিয়া ফিরিয়া আসিয়া স্বামীর বুকের আছে বসাইয়া দিয়া কহিল, “খুকীকে কোলের কাছে নিয়ে শোও দিকি, কোন ভাবনা থাকবে না, কোন ভয় থাকবে না।” সুরেশ দুই হাতে খুকীকে বুকের সঙ্গে চাপিয়া ধরিয়া চক্ষু মুদিয়া *ड़िशा झश्लि। পরদিন প্ৰাতঃকান্ত্রে শশী তাহার সেই সোনার মাদুলিটি বিক্রয় করিয়া কাবুলীওয়ালার দেন। পরিশোধ করিয়া দিল। তার পর অপরাপর দেনার যথাযথ ব্যবস্থা করিয়া ফেলিল । সুরেশ স্ত্রীর কোন কাৰ্য্যের প্রতিবাদ করিল না, শুধু জড়ের মত বসিয়া রহিল। দুই তিন দিনের মধ্যে শশী সমস্ত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করিয়া এই সৰ্বনেশে আলেয়ার আকর্ষণ হইতে সুরেশকে দূরে রাখিবার জন্য সুরেশের পৈতৃক আমলের জীর্ণ পল্পীভবনে গিয়া আশ্রয় লইল । 。ゲ