পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা কঁাপিতেছিল। কিন্তু সে নিশ্চল। বঁ হাতের একগাছি শাখা কিছুতেই টানিয়া খোলা যাইতেছিল না, মায়া মাটিতে হাত ফুকিয়া ঠুকিয়া সেটিকে ভাঙ্গিয়া ফেলিল। তবুও মায়ার চােখ দিয়া এক ফোটা জল বাহির হইল না। মনে হইতেছিল তাহার চোখ দুটী নিঙড়াইয়া ফেলিলেও বিন্দু পরিমাণ জল বাহির হইবে না ! মন্দ লোকে নানা কথা বলিতে লাগিল। ভাল লোকে বলিলেন, “হয় মায়া পাগল হইয়া যাইবে, না হয় সে আত্মহত্যা করিবো।” কিন্তু মায়া কিছুই করিল না। তাহার পিতা লইয়া যাইবার জন্য লোক পঠাইতেই শ্বশুর। শ্বাশুড়ীর পদধূলি লইয়া সে পিত্ৰালয়ে চলিয়া আসিল। যে কক্ষে তাহার স্বামী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়াছিলেন, সেটি তাহারই শয়নকক্ষ। এ কয় দিন মায়া সেই ঘরেই পড়িয়াছিল। যাইবার দিন স্বামীর চট জোড়া, দুইটী’ জামা ও দুই খানি কাপড়, যাহা তাহার স্বামী প্ৰায়ই পরিতেন, তাহ গোপনে বাক্সর মধ্যে লুকাইয়া আনিয়াছিল। & মায়ার পিতা পরেশবাবু কন্যার অকাল বৈধব্যের সংবাদ . পাওয়া অবধি মনে মনে মস্ত তাকিক হইয়া উঠিলেন। তাহার কন্যার এত রূপ ও এমন শিক্ষা মানুষের-গড়া সমাজের পীড়নে নিস্ফল হইয়া যাইবে? তাহার কন্যা যে পঞ্চদশ বর্ষ উত্তীর্ণ হইয়া মাত্র ষোড়শে N) eo)