পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার লাগিল। যখন পরেশবাবু বিধবাবিবাহের স্বপক্ষে খুব উৎসাহের সহিত বক্তৃতা করিতেন, নরেশ তখন প্ৰফুল্ল মুখে তঁহার কথায় সায় দিয়া যাইত। কন্যার মুখের পানে চাহিয়া তিনি এমনই উত্তেজিত হইয়া উঠিতেন যে, তাহার সম্মুখেই তিনি বিধবাবিবাহের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে আলোচনা জুড়িয়া দিতেন। তিনি মনে করিতেন, মায়া ইহাতে খুব সন্তুষ্ট হইবে, কিন্তু এ আলোচনার সূত্রপাতেই মায়া অন্যত্র উঠিয়া চলিয়া যাইত। মায়ার শ্বশুর গৌরহরিবাবু এখনও নানাপ্রকারে পরেশকে নিরস্ত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন । এমন কি শেষে ভয় দেখাইয়া বলিয়া পাঠাইলেন, পরেশ যদি এমন কাজ করেন, তিনি তাহার পুত্রবধূকে জোর করিয়া কাড়িয়া লইয়া আসিবেন। ইহাতে পারেশবাবুর জেদ আরও বাড়িয়া গেল। গৌরহরিবাবুর এতদূর সাহস,-আমার বাড়ী হইতে আমার মেয়েকে কাড়িয়া লইয়া যাইবেন । পরেশবাবু মনে করিয়াছিলেন, আরও কিছুদিন পরে মায়ার বিবাহের আয়োজন করিবেন, কিন্তু আর দেরী করা হইল না। মায়ার বিবাহের দিন স্থির করিয়া নরেশকে প্ৰস্তুত হইতে বলিলেন। মায়াও এ সম্বাদ শুনিল । সে দিন শীতের মধ্যাহ্ন। সকলের খাওয়া দাওয়া হইয়া গিয়াছে। পরেশবাবু বাহিরের ঘরে বসিয়াছিলেন। মায়া নিজের ঘরের ভিতর উন্মুক্ত দরজার সুমুখে দুই হাতের মধ্যে মুখ ֆֆՀ