পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিদির পত্র sy or • ~ MINA শ্বশুরবাড়ীর এরা আমার তিনখানি গহনা বন্ধক দিয়াছেন। যে অবস্থায় গহনা কয়খানি বন্ধক পড়িয়াছে, সে অবস্থায় পড়িলে অপরে কি করিত তাহ জানি না ; যাকগে, সে কথার আর উল্লেখ করিব না—উল্লেখের দরকারই বা কি ? দিন পনর আগে আমি একবার বাপের বাড়ী গিয়াছিলাম, সেই সময় আমার গায়ে ঐ তিনখানি গহনা না দেখিয়া মেজাপিসি প্ৰথমে হাসিতে হাসিতে জিজ্ঞাসা করেন, “তোর অমুক অমুক গয়না যে দেখতে পাচ্ছি না ? তোর শ্বাশুড়ী মাগী বুঝি বন্ধক দিয়ে খেয়েছে ?” মেজাপিসি যে এ কথাগুলো তখন ঠাট্টা করিয়া বলিয়াছিলেন, তাহা বুঝিলাম। কিন্তু আমি সত্য কথা গোপন করিলাম না, বন্ধক দেওয়ার কথা খুলিয়া বলিলাম। অমনই মেজাপিসি গালে মুখে চড়াইয়া চীৎকার করিয়া বাড়ীর আর পাঁচজনকে জড় করিলেন। তখন, “কেন বন্ধক দিয়াছে, এত অভাব তাদের কিসে হইল যে, বউয়ের বাপের দেওয়া গহনা বন্ধক দিতে হইয়াছে, এই প্রকারের নানা প্রশ্ন নানা জনে করিতে লাগিল। আমার শ্বাশুড়ী ও তোর জামাই বাবুর নাম করিয়া কত জনে কত কথা বলিতে আরম্ভ করিল। আমি নীরবে সমস্ত শুনিয়া গেলাম, কোন উত্তর দিলাম না। কেন না, ইহাদের কোন কথাৱ উত্তর দেওয়া আমি একেবারেই আবশ্যক মনে করিলাম না, এবং এখনও করি না। মেজাপিসি গিয়া তৎক্ষণাৎ বাবাকে এ কথা জানাইয়া আসিলেন। তোর কাছে yYʻq'