পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার স্পর্শ করিয়া দেখিলেন, দেহ যেন একেবারে পুড়িয়া যাইতেছে। র্তাহার আর বুঝিতে বাকি রহিল না, প্লেগ পূর্ণমাত্রায় সুকুমারের দেহ অধিকার করিয়াছে। তখনই ঔষধপত্ৰ আনিবার জন্য তঁহার সুঙ্গীকে প্রেরণ করিলেন। ঘরের কোণে সুকুমারের শয্যা পিছন ছিল, তিনি তাহাকে ধরিয়া তাহার উপর শোয়াইয়া দিলেন । দেখিলেন, কি একখানা কাগজ তৈাহার বুকের জামার সঠিত অ্যাটা রহিয়াছে। তিনি পাখা লইয়া হাওয়া করিতে লাগিলেন। অনেকক্ষণ হাওয়া করিবার এবং জলপটি দিবার পর সুকুমার চোখ মেলিল । জ্ঞানানন্দ ডাকিলেন, “সুকুমার !” সুকুমার তাহার দিকে চাহিয়া ক্ষণিকণ্ঠে কহিল, “অ্যাপািন এখানে কেন, আপনি যান ।” ইতিমধ্যে ঔষধ আসিয়া পৌছিল। স্বামীজীর সঙ্গী এক দণ ঔষধ ঢালিয়া সুকুমারের মুখের নিকট লাইতেই সে ঔষধপূর্ণ গ্লাস স্ট তাহার হাত হইতে কাড়িয়া লইয়া দূরে ফেলিক্সা দিল। জ্ঞানানন্দ ভাবিলেন, বুঝি তাহার বিকার উপস্থিত হইয়াছে। আবার এক দাগ ঔষধ সুকুমারের মুখের নিকট ধরিতেই এবারও সে তাহে? ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল। তাহার পর দাতে দাত দিয়া সে পৰ্ব ৬ধ! রহিল। সারা রাত্রের মধ্যে তাহার সেই দাত ছাড়াইয়া এক সিন্দু জল অবধি কেহ তাহাঝে খাওয়াইতে পারিল না। : ভোরের পাখী ডাকিয়া থামিয়া গেল, সূৰ্য্যকিরণ অরুণকিবণ”ক নিস্তেজ করিয়া ফেলিল। তখন জ্ঞানানন্দ স্বামী দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ VVS)