পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शूदूमेन কাতার অৰ্দ্ধভগ্ন, জীর্ণ ইটুকোটায় আসিয়: আশ্রয় লইয়াছেন। দুৰ্দ্ধান্ত দামােদর বৃদ্ধের যাহা-কিছু ছিল, সমস্তই গ্রাস করিয়া ফেলিয়াছে; বৃদ্ধের স্ত্রী, কিরণের সেই বিমাতা,-বৃদ্ধের কন্যা ও সেই কন্যার পুতুলের মত ছ। বছরের ছেলেট, বৃদ্ধের বড় আদরের নাতির্টি,---কাহাকেও রাখিয়া যায় নাই। যে দিন হরনাথ ক্ষতবিক্ষত অন্তরে কলিকাতায় আসিয়া পৌছিলেন, সে দিন সন্ধ্যার সময় কে একজন আসিয়া কিরণচন্দ্ৰকে এই সংবাদ দিয়া গেল। সেই ধে কিরণচন্দ্ৰ বাহির হইয়াছিল, তাহার পর দুই দিন আপ্ন শ্বশুর গৃহে ফিরে নাই। অবশ্য এইরূপ অনুপস্থিতি তাহার পক্ষে কিছু নূতন নহে। এমনতর প্রায় মাঝে মাঝে ঘটিত। প্ৰথমে "অন্তরের নিভৃত তথ্য প্রদেশে বিষম ব্যথা অনুভব করিলেও, ক্ৰমে ক্ৰমে সুষমার ইহা সহ্য হইয়া গিয়াছিল। অন্তদিনের অপেক্ষা, সে দিন সুষম তাতার স্বামীর প্রত্যাবৰ্ত্তনের প্রতীক্ষায় অধিকতর ব্যাগ সৃষ্টিয়া উঠিয়াছিল। তাহার একটু বিশেষ কারণ ঘটিক্সাছিল। তৃতীয় দিনেও সখন কিরণচন্দ্ৰ বাটী ফিরিল না, তখন সুধিম বাস্ত হইয়া সৰ্ব্বাগে গিয়: তাহার দাদাকে ধরিয়া পড়িল, “দাদা, আমাকে শিশুরবাড়ী রেখে আসবে?” দাদা অবাক সৃষ্টয়া কহিল, “তোর শশুর-বাড়ী! সে আবার কোথায় ?” সুষম ঠিকানা জানাইয়া কহিল, “শুনেছ ত আমার শ্বশুরের কি সৰ্ব্বনাশ হ’য়ে গেছে- তীকে যত্ন করে, এমন একজন কেউ নেই তুমি যদি দাদা একবার আমায় সেইখানে পৌঁছে দিয়ে এস।” VOV)