সুকুমার hy 'n " " r ঘরে ঘরে হইতেছিল এবং দুই এক জন মরিতেও ছিল। ঐ তাঙ্গাদের ভাড়াটিয়াও আজ দশদিন তহঁতে শয্যাশায়ী হইয়া আছে। বঁচিবে কি মরিবে তাহাও এখন ডাক্তাররা ঠিক বলিয়া উঠিতে পারে নাই । আজ সুষমা নিজেকে বড় অসহায় মনে করিল। যদি জ্বর আরও বাড়িয়া পড়ে, অসুখ যদি খুব শক্ত হইয়া দাঁড়ায়, তখন সে কি করিবে । সারারাত্ৰি হরিনাথের শিয়রের কাছে ‘ঠায়” জাগিয়া বসিয়া থাকিয়া সে কেবলই ঐ কথা ভাবিতে লাগিল, কাহার কাছে। যাইবে, কি করিবে ; কেমন করিয়া তাহাকে বঁাচাইবে । সে যে তাহাকে আশ্রয় করিয়া বাপের বাড়ীর সংশ্ৰব অবধি ত্যাগ করিয়াছে। তাহার শ্বশুর ও স্বামীকে তাহার দাদা আসিয়া অপমান করিয়া গিয়াছেন,-সেখানে আর সে কিছুতেই মাথা হেঁট করিয়া যাইতে পরিবে না। শ্বশুরের অসুখের কথাও সেখানে কিছুতেই জানাইতে পারে না। তাহারা বড়লোক, দুঃখীর অসুখের কথা শুনিয়া যে উপহাস করিবেন, ইহা সে কিছুতেই সহ্য করিতে পরিবে না। তার চেয়ে,-সে আর কিছু ভাবিতে পারিল না, “যা হয় হ’ক ।” তাহার স্বামী,- তাহাকে যদি সে এ খবরটা দিতে পারিত ! এখনও কি তিনি রাগ করিয়া থাকিতে পরিবেন! কিন্তু কোথায়, কাহাকে দিয়া সে তাহাকে এ সংবাদ দিবে। তখন গভীর রাত্রি। সমস্ত সহর সুষুপ্তির ক্ৰোড়ে আশ্রয় (R
পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।