পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার


بی حسیہ کی حمحصہ^سمجھے

চালাইতেছে ? কিন্তু সুষম যে বড় অভিমানিনী! সে কি নীচু হইয়া শ্বশুরের জন্য তাহার বাপের কিকটি যাদ্ধা করিতে গিয়াছিল ? হরনাথ কিছুই বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না। তবে কি কিরণ আসিয়াছিল ? তিনি তামাক টানিতে টানিতে ভিতরে প্রবেশ করিয়া ডাকিলেন, “মা” । “বাবা ডাকচোন?” বুলিয়া সুষম ব্যস্ত হইয়া শ্বশুরের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল। যখনই শ্বশুর তাহাকে স্নেহময় কণ্ঠে মা বলিয়া ডাকিতেন, তখনই সুষমার অন্তর গভীর আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিত। আবার যে সে এমন স্নেহের “মা” ডাক শুনিতে পাইবে এই কদিন পূর্বেও সে যে একথা ভাবিতেও পারে নাই। হরনাথ চাহিয়া দেখিলেন, তাহার বধুমাতার সোণার বরণ কালি হইয়া গিয়াছে, তাহার দেহটি ক্ষীণ হইয়া গিয়াছে, কিন্তু সেই ক্ষীণ মুখের জ্যোতিটুকু যেন আরও বেশী উজ্জ্বল হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। তিনি খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া কি জিজ্ঞাসা করিতে যাইতেছিলেন, এমন সময় হঠাৎ সুষমার মণিবন্ধের উপর চোখ পড়িতেই দেখিলেন, তাহার বউমার হাতের সেই সোণার চুড়ি কয়গাছি নাই। সেখানে কয়েকগাছি কাচের চুড়ি শোভা পাইতেছে। বৃদ্ধের আর কিছু বুঝিতে বাকি রহিল না। তঁহার আর কিছু জিজ্ঞাসা করাও হইল না। আর একবার বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে ডাকিলেন, “মা !” সুষমা মধুর কণ্ঠে উত্তর করিল, “কি বাবা ?” “না, কিছু না” বলিয়া বৃদ্ধ আবার বাহিরে চলিয়া গেলেন। ○パり