পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্রবধু আবিষ্কার করিয়া হরনাথ সত্যই খুব উৎসাহিত ও উৎফুল্লিত হইয়া উঠিলেন।” দুপুর বেলা কঁদে চাদর ফেলিয়া হরনাথ রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িলেন। এ বাজার সে বাজার ঘুরিয়া কপির দর জানিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । হরিনাথের আর দেরী সহিতেছিল না । কি করিয়াই বা সহিবো! তিনি যে লুকাইয়া দেখিয়াছেন তাহার আহারের ব্যবস্থা ঠিক সমান রাখিয়া তাহার বধুমাতা যে আজ দুইদিন হইতে এক বেলা করিয়া খাইতে সুরু করিয়াছে, দিনের বেলা দুখানি বাতাসা মুখে দিয়া শুধু এক ঘটী জল খাইয়া কাটাইয়া দেয়, রাত্রে খায়, তাহা শুধু নুন আর শুকনো ভাত! আর দুদিন পরে বোধ হয় তাহাও বন্ধ হইয়া যাইবে । সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে হরনাথ ক্লান্ত হইয়া বাড়ী ফিরিলেন। তাত মুখ ধুইয়া হুকার্ট লইয়া মুখুয্যে মহাশয়ের প্রতীক্ষা করিয়া রোয়াকে বসিয়া রহিলেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় মুখুয্যে মহাশয় এই রোয়াকে আসিয়া বসিয়া থাকেন, আজিও আসিলেন। হরনাথ একেবারেই কথা পাড়িয়া বসিলেন, “মুখুয্যে মশায়, আমার একটা উপকারী:করতে হবে।” মুখুয্যে মহাশয় সহাস্তে কহিলেন, “আমার দ্বারা আপনার কি উপকার হ’তে পারে বলুন, আমার সাধ্যের বাইরে না হ’লে অবশ্য করব ।” (N)