পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার শশীমুখী ফ্যান গালিতে গালিতে কহিল, “তা বৈ কি, তোমার ও সব জায়গায় যাবার দরকার কি। আমাদেব সেই পুরাণ বাড়ীর জ্যোঠামশায়ের ছেলের কথা শুনে অবধি, ঘোড়দৌড়ের নাম শুনলে বুকটা যেন কেমন ছাত করে ওঠে, যাক গে ও সব কথা, তুমি ত আর ওদিকে যােচ্ছ না, তা হ’লেই হ’ল। আপিস থেকে এসে হাতমুখ ধোওনি, ধুয়ে এসে খাবার খাও, আমি ততক্ষণে রান্নাবান সেরে নি।” সুরেশ কাপড় জামা ছাড়িবার জন্য রান্নাঘর হইতে বাহির হইতে যাইতেছিল, শশীমুখী ডাকিয়া কহিল, “মেয়েটাকে নিয়ে যাও না গোঁ, ওপরে বিছানায় শুইয়ে দাওগে।” [ R ] এক সপ্তাহ কাটিয়া গেল। আবার শনিবার আসিল। সুরেশের এক একবার মনে হইতে লাগিল, একবার ঘোড়দৌড়ের মাঠে ঘুরিয়া আসে, কিন্তু পরীক্ষণেই তাহার পত্নীর নিষেধবাণী মনে করিয়া জোর করিয়া মন হইতে সে ঘোড়দৌড়ের কথা দুরে ঠেলিয়া দিয়া আপিসের কাজে মনঃসংযোগ করিতে লাগিল। এমনই করিয়া দুইটা বাজিয়া গেল। আর আধা ঘণ্টার মধ্যেই ছুটি হইবে। সুরেশ তাড়াতাড়ি হাতের কােজ সারিতে লাগিল। মুহূৰ্ত্তপূর্বে র্সে মনে মনে কল্পনা করিয়াছিল, আজ সে কিছুতেই ঘোড়দৌড়ের মাঠে যাইবে না। হয় ত সে সঙ্কল্প সে কাৰ্য্যে পরিণত