পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলেয়া করিতে পারিত, কিন্তু হরকুমার শনির মত আসিয়া তাহার সমস্ত ওলট-পালট করিয়া দিল। সে সবে আপিস হইতে বাহির হইতে যাইবে, এমন সময় ফটকের সম্মুখেই হরকুমারের সহিত (府) | হরকুমার তাহাকে দেখিয়া হাসিতে হাসিতে কঠিল, “এই যে সুরেশ, আমি তোমারই খোজে যাচ্ছিলাম, ওহে, আজ খুব জোর খবর আছে!” সুরেশ কোন কথা কহিল না । হৰকুমাব আবার বলিতে লাগিল, “বুঝলে সুরেশ, নটনের আস্তাবলে বা সহিসের সঙ্গে খুব আলাপ জমিয়ে নেওয়া গেছে, আজ তিনটে ঘোড়ার যা খবর দিয়েছে, তা একবারে নির্ঘাত, তাতে আর মাির নেই। দু’চারটে টাকা সঙ্গে আছে ত ?” সুরেশ পলকহীন দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিয়া রহিল ; এক দিকে তাহার সমস্ত সুখদুঃখের চিরসহচরী পত্নীর নিষেধ, অন্য দিকে হরকুমারের তীব্র প্রলোভন,-দুইটী বিভিন্নমুখী নদীর প্রবাহের মত এই দুইটী চিন্তা তাহার মনের মধ্যে পাক খাইতে লাগিল। সে যে কি করিবে, তাহা কিছুতেই স্থির করিতে পারিতেছিল না। এমন সময় সম্মুখে ট্রাম আসিতেই হরকুম: তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া ট্রামে তুলিল। কিছু ভাবিয়া স্থিৰ করিবার পূর্বেই সে দেখিল, ট্রামখানি তাহাকে লইয়া ছুটয়া চলিয়াছেঃ ! সে স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল। দেখিতে দেখিতে ট্রামখানিতে মাত্রীর গাদি লাগিয়া গেল। প্ৰত্যেক বেঞ্চে পাঁচজনের স্থানু সাতজন ዓዓ