আলোয়া সুরেশের বোধ হইল, সত্যই যেন তাহারা চলিয়া গেল। সে উন্মত্তবৎ এমন জোরে পা টানিল যে, শশী ললাটে বিষম আঘাত পাইয়া সেইখানে ঢলিয়া পড়িল, তাহার নাক মুখ দিয়া রক্ত ঝরিয়া পড়িতে লাগিল। সুরেশ তাহা দেখিয়াও ফিরিল না, দ্রুতপদে বাটীর বাহির হইয়া গেল। G মাস ছয়েক পরে একদিন শশী তাহার মেয়েটিকে কোলে করিয়া বারান্দায় বসিয়াছিল। সুরেশ বাড়ী ছিল না। শশী বসিয়া বসিয়া কত কথাই না ভাবিতেছিল, কি সুখের পর কি দুঃখেই তাহারা পড়িয়াছে। এখনও ফিরবার সময় আছে, কিন্তু উপায় নাই। ছয়মাস পূর্বে যে দিন সুরেশ তাহকে লাথি মারিয়া ফেলিয়া চলিয়া গিয়াছিল, তাহার পর হইতে সে আর বাধা দিতে যায় নাই, কারণ, তাহাতে ফল ভাল না হইয়া আরও মন্দ দাড়াইয়াছে। সে তখন অন্য পথ ধরিয়াছে, পুরোহিত ডাকিয়া লুকাইয়া শান্তি স্বাস্ত্যয়ন আরম্ভ করিয়াছে। বেলা প্ৰায় পড়িয়া আসিয়াছিল, শশীর জ্যোঠামহাশয়ের বড় ছেলে, তাহদের বড়দাদা আসিয়া উপস্থিত হইলেন। শশী উঠিয়া গলায় অঞ্চল দিয়া প্ৰণাম করিয়া বসিতে আসন দিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বড়দা, তোমাদের সব খবর ভাল ত, অনেকদিন তোমাদের খবর পাই নি।” SNO
পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।