পাতা:সেঁজুতি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সেঁজুতি

ওই যে শিমুল ওই যে সজিনা আমারে বেঁধেছে ঋণে,—
কত যে আমার পাগলামি-পাওয়া দিনে
কেটে গেছে বেলা শুধু চেয়ে-থাকা মধুর মৈতালিতে,
নীল আকাশের তলায় ওদের সবুজ বৈতালিতে।
সকালবেলার প্রথম আলোয় বিকালবেলার ছায়ায়
দেহপ্রাণমন ভরেছে সে কোন্ অনাদিকালের মায়ায়।
পেয়েছি ওদের হাতে:
দূর জনমের আদি পরিচয় এই ধরণীর সাথে।
অসীম আকাশে যে প্রাণ-কাপন অসীম কালের বুকে
নাচে অবিরাম, তাহারি বারতা শুনেছি ওদের মুখে।
যে মন্ত্রখানি পেয়েছি ওদের সুরে
তাহার অর্থ মৃত্যুর সীমা ছাড়ায়ে গিয়েছে দূরে।
সেই সত্যেরি ছবি
তিমিরপ্রান্তে চিত্তে আমার এনেছে প্রভাত-রবি।
সে রবিরে চেয়ে কবির সে বাণী আসে অন্তরে নামি’
“যে আমি রয়েছে তোমার আমায় সে আমি আমারি আমি।”
সে আমি সকল কালে,
সে আমি সকল খানে,
প্রেমের পরশে সে অসীম আমি বেজে ওঠে মোর গানে।


যায় যদি তবে যাক,
এল যদি শেষ ডাক,—

১৪