ঐ হাঙ্গামগুলো জোড়া দিয়েই তো যত গল্প। গায়ের উপর সওয়ার হয়ে গল্প ছুটেছে চারদিকে। কোনো গা গল্পের গাধা, কোনো গা গল্পের রাজহস্তী।
তোমার গা কী দাদামশায়।
বলব না। অহঙ্কার করতে বারণ করে শাস্ত্রে।
দাদামশায়, সে-র গল্প তুমি থামিয়ে দিলে কেন।
বলি তাহোলে। কুঁড়েমির স্বর্গ সকল স্বর্গের উপরে। সেখানে যে ইন্দ্র ব’সে অমৃত খাচ্চেন হাজারচক্ষু আধখানা বুজে, তিনি হোলেন গল্পের দেবতা। আমি তাঁর ভক্ত; কিন্তু তাঁর সভায় আজকাল ঢুকতেই পারিনে। আমার ভাগে গল্পের প্রসাদ অনেকদিন থেকে বন্ধ।
কেন।
পথ ভুল হয়ে গিয়েছিল।
কী করে।
অমরাবতীর যে সুরধুনী নদীর একপারে ইন্দ্রলোক, তারি ভাঁটিতে আছে আরেক স্বর্গ। কার্খানাঘরের কালো ধোঁয়ার পতাকা উড়ছে সেখানকার আকাশে। সেটা হোলো কাজের স্বর্গ। সেখানে হাফ্পেণ্ট্পরা দেবতা বিশ্বকর্ম্মা। একদিন শরৎকালের সকালে পূজোর থালায় শিউলি ফুল সাজিয়ে রাস্তায় চলেছি; ঘাড়ের উপর এসে পড়ল বাইক-চড়া এক পাণ্ডা। তার ঝুলিতে একতাড়া খাতা, বুকের পকেটে একটা লাল কালীর, একটা কালো কালীর ফাউণ্টেনপেন, খবরের কাগজের কাটা টুকরোর বাণ্ডিল চায়না-কোটের দুই পকেট ছাড়িয়ে বেরিয়ে পড়েছে, ডানহাতের কব্জি ঘড়িতে ষ্ট্যাণ্ডার্ড টাইম, বাঁ হাতে কলকাতা টাইম, ব্যাগে ই আই আর, ই, বি, আর, এ, বি, আর, এন, ডর, আর, বি, এন, আর, বি, বি, অরি, এস, আই, আর-এর টাইমটেবিল। বুকের পকেটে নোটবই ডায়রি সুদ্ধ। ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়িয়ে পড়ি আর কী। সে বললে, আকাশের দিকে তাকিয়ে চলেছ কোন চুলোয়।
৮৩