খায় আর তার রস ঠোঙার ছিদ্র দিয়ে অজানিতে পড়তে থাকে তার ময়লা ধুতির উপর, সেটাই গল্প। যদি জিগেস করো, তারপরে? তাহোলে বলব, তারপরে ও ট্রামে চড়ে বসল, হঠাৎ জ্ঞান হোলো পয়সা নেই, টপ্ ক’রে লাফিয়ে পড়ল। তারপরে? তারপরে এই রকমই আরো কত কী, ‘বড়োবাজার থেকে বহুবাজার, বহুবাজার থেকে নিমতলা।’
ওদের মধ্যে একজন বললে, যা সৃষ্টিছাড়া, বড়োবাজারে বহুবাজারে এমন কি নিমতলাতেও যার গতি নেই, তা নিয়ে কি গল্প হয় না?
আমি বললুম, যদি হয় তাহোলেই হয়, না হোলে হয়ই না।
সে বললে, হোক্ তবে। হোক্ না, একেবারে যা-ইচ্ছে তাই; মাথা নেই, মুণ্ডু নেই, মানে নেই মোদ্দা নেই এমন একটা কিছু।
এটা হোলো স্পর্দ্ধা। বিধাতার সৃষ্টি, নিয়মের রসারসি দিয়ে ক’ষে বাঁধা, যেটা হবার সেটা হবেই। এ তো সহ্য হয় না। একঘেয়ে বিধানের সৃষ্টিকর্ত্তা পিতামহকে এমন ক্ষেত্রে ঠাট্টা ক’রে নেওয়া যাক যেখানে শাস্তির ভয় নেই! এ তো তাঁর নিজের এলেকা নয়।
আমাদের “সে” ছিল কোণে ব’সে। কানে কানে বললে, দাদা, লেগে যাও। আমার নাম দিয়ে যা-খুসি চালিয়ে দিতে পারো, ফৌজদারী করব না।
“সে” মানুষটির পরিচয় দেওয়ার দরকার আছে।
পুপুদিদিমণিকে ধারা বেয়ে যে গল্প ব’লে যাচ্চি সেই গল্পের মূল অবলম্বন হচ্চে একটি সর্ব্বনামধারী “সে”, কেবলমাত্র বাক্য দিয়ে তৈরি। সেইজন্যে এ’কে নিয়ে যা-তা করা সম্ভব, কোনোখানে এসে কোনো প্রশ্নের হুঁচোট খাবার আশঙ্কা নেই। কিন্তু অনাসৃষ্টির চাক্ষুষ প্রমাণ দেবার জন্যে একজন শরীরধারী জোগাড় করতে হয়েছে। সাহিত্যের মামলায় কেস্টা যখনি বড়ে বেশি বেসামাল হয়ে পড়ে, তখনি এ লোকটা সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত। কিছুই বাধে না। আমার মতো মোক্তারের ইসারা পেলেই সে
৬