সেইটেই সম্ভব। তোমাদের বিজ্ঞান মাষ্টার তো সেদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন—বিশ্বজগতে সূক্ষ্ম আলোর কণাই বহুরূপী হয়ে স্থলরূপের ভান করছে। সেদিন আলো আপন আদিম সূক্ষ্মরূপেই প্রকাশ পাবে। ক্লাসে তোমরা সবাই আলো করে বসবে। সেদিন ওটিন-স্নো-ওয়ালারা একেবারে দেউলে হয়ে গেছে।
দেউলে কেন, আলো হয়ে গেছে।
দেউলে হয়ে যাওয়ার মানেই তো আলো হয়ে যাওয়া।
আমি কোন্ রঙের আলো হব দাদামশায়।
সোনার রঙের।
আর তুমি।
আমি একেবারে বিশুদ্ধ রেড়িয়ম।
সেদিন আলোয় আলোয় লড়াই হবে না তো, ইলেক্ট্রন নিয়ে হবে না। কি কাড়াকাড়ি।
ভাবনা ধরিয়ে দিলে। লীগ্ অফ্ লাইট্সের দরকার হবে বোধ হচ্চে। ইলেক্ট্রন নিয়ে টানাটানির গুজব এখনি শুনতে পাচ্ছি।
ভালোই তো দাদামশায়। বীররসের কবিত। তোমার ভাষায় উজ্জ্বল বর্ণে বর্ণিত হবে। ঐ যাঃ, ভাষা থাকবে তো।
শব্দের ভাষা নিছক ভাবের ভাষায় গিয়ে পৌঁছবে—ব্যাকরণ মুখস্থ করতে হবে না।
আচ্ছা গান।
গান হবে রঙের সঙ্গত। বডো সহজ হবে না। তান যখন ঠিকরে পড়তে থাকবে, ঝলক মারবে আকাশের দিকে দিকে। তখনকার তানসেনরা দিগন্তে অরোরা বোরিয়ালিস বানিয়ে দেবে।
আর তোমার গদ্যকাব্য কী হবে বলো তো।
১৩৫