পাতা:সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 পঞ্চু। কী দুলছে। ও তো ল্যাজ রে।

 উধো। তোর কেমন বুদ্ধি গোবরা, ও বাবার ল্যাজ নয়রে, হনুমানের ল্যাজ। দেখছিসনে মুখ ভ্যাঙাচ্চে।

 গোবরা। ঘোর কলি যে! বাবা ঐ কপিরূপ ধরেছেন—আমাদের ভোলাবার জন্যে।

 পঞ্চ। ভুলছিনে বাবা, কালামুখ দেখিয়ে ভোলাতে পারবে না। যত পায়রা মুখ ভ্যাঙাও, নড়ছিনেতোমার ঐ শ্রীল্যাজের শরণ নিলুম।

 গোবর। ওরে, বাবা যে লম্বা লাফ দিয়ে পালাতে শুরু করল রে।

 পঞ্চু। পালাবে কোথায়? আমাদের ভক্তির দৌড়ের সঙ্গে পারবে কেন?

 গোবরা। ঐ বসেছে কয়েৎবেল গাছের ডগায়।

 উপধা। পঞ্চু, উঠে পড়, না গাছে!

 পঞ্চ। আরে তুই ওঠ না!

 উপধা। আরে তুই ওঠ।

 পঞ্চ। অত উচ্চে উঠতে পারব না বাবা, কৃপা করে নেমে এসো।

 উধা। বাবা, তোমার ঐ শ্রীল্যাজ গলায় বেঁধে অন্তিমে যেন চক্ষু মুদতে পারি এই আশীর্বাদ করো।

(প্রস্থান)

 * * * * *

 ওহে কমবুদ্ধি, হাসাতে পারলে?

 না। যে-মানুষ সবই বিনাবিচারে বিশ্বাস করতে পারে তাকে হাসানো সোজা নয়।

 ভয় হচ্ছে পুপেদিদি পাছে গেছোবাবার সন্ধান করতে আমাকে পাঠায়। মুখ দেখে আমারও তাই বোধ হচ্চে। গেছোবাবার পরে ওর টান পড়েছে।

২৭