কনেটি এক নিঃশেষে ব’লে দিলে
কানা তুমি, নেই ভালাে দৃষ্টি।
সহ-সম্পাদকের এটা অসহ হোলো, ব’লে দিলে
ব্রহ্মা লম্বা হাতে
তােমাকে গড়েছে রাতে
যবে শেষ হোলো আলো বৃষ্টি।
লম্বা হতে বলবার তাৎপর্য্য কী হোলো?
মেয়েটি ঢ্যাঙা আছে শুনেছি, তোমার চেয়ে ইঞ্চি দুই তিন বড়ো হবে। তাই শুনেই তো আমার উৎসাহ।
বলো কী?
একখানা মেয়ে বিয়ে করতে গিয়ে পাওয়া যাবে আধখানা ফাউ।
এ কথাটা আমার মাথায় ওঠেনি।
যা হোক দাদা, সহ-সম্পাদকের কাছে হার মেনে ও হার-মানার একটা কবুলতি দিয়ে দিয়েছে।
কী রকম!
মাছের আঁশের হার গেঁথে ওর গলায় পরিয়েছে, বলেছে যশঃসৌরভ তোমার সঙ্গে সঙ্গে ফিরবে।
আমি লাফ দিয়ে ব’লে উঠলুম-ধন্য! এবার দেখছি এক অসাধারণে সঙ্গে আর-এক অসাধারণের মিলন হবে, জগতে এমন কদাচিৎ ঘটে। তাহোলে আর কেন দিনক্ষণ দেখা।
কিন্তু মেয়েটির পণ, ওকে যে হারাতে পারবে তাকেই ও বিয়ে করবে।
রূপে?
না, কথার মিলে। ঠিকমতো যদি মেলাতে পারি তাহোলে ও নিজেকে দেবে জলাঞ্জলি।
৩২