পাতা:সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

 পারবে তো।

 নিশ্চয়।

 প্ল্যানটা কী শুনি।

 বলব, চার লাইনে আমার চরিত্র বর্ণনা করে, তবে আমাকে খুসি ক’রে দাও। মিল হওয়া চাই ফষ্ট্‌ ক্লাস।

 কনে দেখার যদি পেটেণ্ট নেওয়া চল্‌ত তুমি নিতে পারতে। বরের স্তব দিয়ে শুরু। অতি উত্তম। উমা তাতেই জিতেছিলেন।

 প্রথম লাইনটা ওকে ধরিয়ে দিতে হবে, নইলে আমার চরিত্রের থই পাবে না—আমার বর্ণনার ধুয়োটি হচ্চে এইঃ—

তুমি দেখি মানুষটা একেবারে অদ্ভুত।

 পুরো বহরের মিল দাবি করলে মেয়েটি বোধ হয় মাথায় হাত দিয়ে পড়বে। ওকে হার মানতেই হবে। আচ্ছা দাদা, তুমিই দাও দেখি ওর পরের লাইনটা যোগ ক’রে।—

 আমি বললেম,—

স্কন্ধে তােমার বুঝি চাপিয়াছে বদ্‌ভূত।

 এক্‌সেলেণ্ট্‌। কিন্তু আর দুটো লাইন না হোলে শ্লোক তো ভর্ত্তি হয় না। আমি বল্‌ছি, কনে তো কনে, কনের বাবার সাধ্যি হবে না ওর মিল বের করতে। দাদা তোমার মাথায় কিছু আসছে? ভাষায় হোক্ অভাষায় হোক্‌।

 একেবারেই না।

 তাহোলে শোনো-

ছাত থেকে লাফ দাও, পাক দেখে ঝাঁপ দাও
যখন তখন করাে যদ্ভূত তদ্ভূত।

 ও আবার কী! ওটা কোন্ দিশি বুলি।

৩৩