সাহেবের কাছে। তিনি নারকেলডাঙা থেকে সাবল আনিয়ে সাফ করে দিলেন।
পাঁড়েজি বললে, তবে ডাণ্ডায় তোমার কী প্রয়োজন।
পণ্ডিতমশায় বললেন, দাঁতন করতে হবে।
পাঁড়েজি বললে, ওঃ তাই বলল, আমি বলি নাকে কাঠি দিয়ে হাঁচবে। বুঝি, তাহোলে আবার গঙ্গাজল দিয়ে শোধন করতে হোত।
এই পর্যন্ত ব’লে গুড়গুড়িটা কাছে নিয়ে দুটান টেনে “সে বললে, দেখে দাদা, এই রকম তোমার বানিয়ে বলবার ধরণ। এ যেন আঙুল দিয়ে লিখে গণেশের শুঁড় দিয়ে লম্বা চালে বাড়িয়ে লেখা। যেটাকে যেরকম জানি সেটাকে অন্যরকম করে দেওয়া। অত্যন্ত সহজ কাজ, যদি বলো লাটসাহেব কলুর ব্যবসা ধ’রে বাগবাজারে শুটকি মাছের দোকান খুলেছেন তবে এমন শস্তা ঠাট্টায় যারা হাসে তাদের হাসির দাম কিসের।
চটেছ ব’লে বোধ হচ্চে।
কারণ আছে। আমাকে নিয়ে পুপুদিদিকে সেদিন যাচ্ছে-তাই কতকগুলো বাজে কথা বলেছিলে। নিতান্ত ছেলেমানুষ ব’লেই দিদি হাঁ করে সব শুনেছিল। কিন্তু অদ্ভুত কথা যদি বলতেই হয় তবে তারমধ্যে কারিগরি চাই তো।
সেটা ছিল না বুঝি?
না ছিল না। চুপ করে থাকতুম যদি আমাকে সুদ্ধ না জড়াতে। যদি বলতে, তোমার অতিথিকে তুমি জিরাফের মুড়িঘণ্ট খাইয়েছ, শর্ষে-বাঁটা দিয়ে তিমিমাছ ভাজা আর পোলাওয়ের সঙ্গে পাঁকের থেকে টাট্কা ধরে-আনা জলহস্তী। আর তার সঙ্গে তালের গুঁড়ির ডাঁটা-চচ্চড়ি, তাহোলে আমি বলতুম ওটা হোলো স্থূল। ও রকম লেখা সহজ।
আচ্ছা, তুমি হেলে কী রকম লিখতে।
৪৬